২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১১

ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে অভিযানে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে: কাদের

  © ফাইল ফটো

ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই শুদ্ধি অভিযানে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এজন্য নিজেদেরকে খুশি বলে দাবি করেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্যায়, অপকর্ম, অনিয়ম-দুর্নীতি ও শৃঙ্খলাবিরোধী অ্যাকশনে সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে, উই আর হ্যাপি ইন অ্যাকশন।’

শুদ্ধি অভিযানের পরিধি বাড়িয়ে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগেও এ অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মরোধে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তা সারাদেশেই ছড়িয়ে যাবে। সারাদেশের যেখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হবে—শুধু যুবলীগ বা ছাত্রলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও যারা অনিয়ম দুর্নীতি করবে, তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগেও হয়েছে। দুদক অনিয়ম অভিযোগের বিরুদ্ধে আগেও ব্যবস্থা নিয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায়-অনিয়ম বা দুর্নীতিতে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদত দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনও গডফাদারই ছাড় পাবে না। যারা আগামীতে এসব অপকর্ম করবেন, তাদের জন্য এটা সতর্কবার্তা।’

‘আওয়ামী লীগ মসজিদের শহরকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিই ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে। বিএনপি যা পারেনি আওয়ামী লীগ তা করছে—এটাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। বিএনপি সরকার কখনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায়নি। এই অ্যাকশনের জন্য জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। বিএনপি যা পারেনি, তা শেখ হাসিনা করছেন।’

বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর ‘শেখ মুজিব যেভাবে বিদায় হয়েছেন, শেখ হাসিনাও সেভাবে বিদায় হবেন’ এই বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তার এ বক্তব্য বিএনপির দলীয় নাকি তার ব্যক্তিগত তা পরিষ্কার করতে হবে, আর এটা করতে হবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতেও আমাদের নেত্রীকে ‘হত্যা করা হবে, তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে, বঙ্গবন্ধু যে পথে গেছেন, শেখ হাসিনাও সে পথে যাবেন’, এ ধরনের বক্তব্য তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক নেতাই বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র করছে আমাদের নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়া যায় কিনা। ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতায় যেতে এটাই তাদের কৌশল কিনা!’’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুদুর এই বক্তব্যে আমরা শঙ্কিত নই। শেখ হাসিনা মৃত্যুকে ভয় পান না। মৃত্যু হবে জেনে নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন না।  যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করেন, তাদের বিষয়ে দেশের মানুষকে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।