ঢাবি উপাচার্যের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ফখরুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের ‘একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ধরনের ব্যক্তির এই পদে আসীন হওয়ার কথা আমরা চিন্তাও করতে পারি না।
শনিবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে শিক্ষা, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতের ‘দুর্বলতা’ তুলে ধরে সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল।
তিনি বলেন, “আজকে ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাঙের ছাতার মতো মেডিকেল কলেজ। কোথায় কী হচ্ছে, কার পলিসি জানি না আমরা।”
এ সময় উপাচার্য আখতারুজ্জামানকে নিয়ে ফখরুল বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড কী তা আমরা সবাই দেখি- এটা আমরা চিন্তুাও করতে পারি না। এই সমস্ত লোকেরা আমাদের শিক্ষার গুরু হয়েছেন। “কথা শুনলে মনে হয় না কোনো রকমের শিক্ষা-সংস্কৃতি তাদের মধ্যে রয়েছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে এক বছরের বেশি উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান তার আগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং কলা অনুষদে ডিনের দায়িত্বও পালন করেছেন।
১৯৬৪ সালের ১ জুলাই জন্ম নেওয়া আখতারুজ্জামান বরগুনার কালমেঘা মুসলিম হাই স্কুল ও বরগুনা সরকারি কলেজে লেখাপড়ার পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯০ সালে তিনি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে।
এই ফুলব্রাইট স্কলার পিএইচডি করেন ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপক হন।
আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের নীল দলের প্যানেল থেকে ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ মেয়াদে তিন দফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মির্জা ফখরুলও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। পেশা জীবনে কলেজের অধ্যাপক হয়েছিলেন তিনি। আশির দশকের শেষ দিকে অধ্যাপনা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পৌর চেয়ারম্যান এবং পরে সাংসদ হন মির্জা ফখরুল।