থানা থেকেই ছাড়া পেলেন রাশেদ খাঁন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে থানা থেকেই ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে মারধর করে ঝিনাইদহ থানায় সোপদ করে। পরে রাত ৮টার দিকে রাশেদকে তার বাবার মাধ্যমে ছেড়ে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খাঁন। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। যা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে রাশেদ খাঁন ও তার সংগঠনের নেতারা জানান।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়েছিল। ওসি বলেন, রাশেদ খানকে তার বাবার মাধ্যমে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের বাড়ি ঝিনাইদহের মুরারিদাহ গ্রামে। তার বাবার নাম বাবা নবাই বিশ্বাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নুর হোসেন নুর ভিপি পদে বিজয়ী হন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে হাসান আল মামুন, নুরুল হক নুর, রাশেদ খাঁনদের নেতৃত্ব আন্দোলন গড়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।