যোগ্য প্রার্থীর খোঁজে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া নাছেরকে ‘জোর করে’ মনোনয়ন দিচ্ছে এনসিপি?
নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়েছে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)। জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনা যখন তুঙ্গে, ঠিক সে সময় ফেসবুক পোস্টে গাজীপুর-২ আসন থেকে নিজের প্রাথমিক মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আলী নাছের।
একটি ফেসবুক পোস্টে আলী নাছের লিখেন, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের মনোনয়নের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পেশাগত জীবন ও রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি নিজেকে আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে চান। গাজীপুর-২ আসনের জন্য আরও যোগ্য প্রার্থীর প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি অনুভব করছেন বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি লিখেন, এনসিপির একজন কর্মী ও গাজীপুরের সন্তান হিসেবে দলীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
এদিকে, আজ ২৯ ডিসেম্বর সকালে এনসিপির ব্যানারে গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জনাব আলী নাছের। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফরম তোলার এই খবরে জোটের অন্যান্য শরিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
শরিক দলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যিনি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে উপযুক্ত মনে করছেন না, যিনি ইতিপূর্বে কোনো ধরনের প্রচারণায় অংশ নেননি এবং যাকে স্থানীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরাও তেমনভাবে চেনেন না—তাকে কেন এনসিপি প্রার্থী হিসেবে সামনে আনছে। তাদের প্রশ্ন, এটি কি জোর করে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নয়?
এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—গাজীপুর-২ আসনটি কি তবে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিরোধী পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে?
এ বিষয়ে আলী নাছের বলেন, আমি তখন সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও দলীয় অনুরোধে আমি জোট থেকে প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে বলেন, আমরা প্রতীক পেতে লেট হয়েছে তাই এতোটা সামনে আসার সুযোগ হয়নি।
অন্যদিক জামায়াতের সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী ভোটারদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি এটা জামায়াতে ইসলামী ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এই আসন ঢাকার প্রবেশদ্বারের অন্যতম আসন। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর গণজাগরণ রয়েছে বলেও একাধিক জামায়াত নেতার দাবি।