নিরাপত্তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ তারেক রহমানের
১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন পথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে পরিবারের সদস্যসহ তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফোন দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমানের দেশের ফেরা উপলক্ষ্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। উভয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার বিষয়েও খোঁজ নেন। এর আগে বিএনপির বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টাকে ফোনে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনি নানা ধরনের ব্যবস্থা করেছেন আমার নিরাপত্তার জন্য। সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ফোনে কথোপকথনের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি।
সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ডের পর ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: আসন সমঝোতায় জামায়াত-এনসিপি, সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহেই
লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে সপরিবারে যাত্রা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দেশে ফেরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক লাইনের একটি স্ট্যাটাসে নিজের আবেগ তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি লিখেন, দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে।
তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এছাড়া তারেক রহমানের মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুর রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা নামে আরেকজনও ছিলেন তাদের সঙ্গে।