ফেসবুকে ভাসছে ইরানের কাশেম সোলাইমানির লাশের গাড়ি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। জানাজা শেষে তার লাশবাহী গাড়ির ওপরে উঠেছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সাদিক কায়েমরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ফেসবুকে ভেসে উঠছে ইরানি সমরনায়ক, ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর মেজর কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানির লাশবাহী গাড়ির ছবি। সোলাইমানির লাশের গাড়িতেও উঠেছিলেন তার সমর্থকরা।
কাশেম সোলাইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি টার্গেট করা বিমান হামলায় নিহত হন। তার সাথে ফোর্সের আরো কিছু জনপ্রিয় সামরিক সদস্যরা নিহত হয়েছিলেন। সোলেইমানির জানাজায় কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
কাশেম সোলাইমানির লাশবাহী গাড়ির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে আরাফাত রহমান শৈশব নামে একজন লিখেছেন, ‘আজকে হাসনাত আবদুল্লাহ, সাদিক কায়েম এবং আবদুল্লাহ আল জাবের ভাইদের মতো নেতা জনতাকে না সামলাইলে বড় অঘটন ঘটতে পারতো। কুড়ি সালে ইরানে কাশেম সোলাইমানির জানাজায় মিলিয়ন মানুষ জড়ো হইছিলেন যা রুহুল্লাহ খোমেনির জানাজার পর ইরানের সবচে বড় জানাজা ছিলো। কাশেম সোলাইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে ডজন মানুষ ইন্তেকাল করছিলেন। হাসনাত সাদিক জাবেরদের যোগ্য নেতৃত্বে আজ আমরা এই বিপদ এড়াইতে পারছি। তাদেরকে ধন্যবাদ।’
বুধবার শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জানাজা শেষে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সংসদ ভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে হাদির লাশবাহী গাড়ির ছাদে উঠে জনতাকে সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবেরকে।
শনিবার দুপুরে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা শেষে তার লাশ নিয়ে রওনা হন হাসনাত-সাদিক-জাবেরসহ অন্যরা। এ সময় অসংখ্য মানুষকে লাশবাহী গাড়ির সাথে যেতে দেখা যায়। গাড়ির যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে গাড়ির ছাদে উঠে জনতাকে সামলানোর চেষ্টা করেন হাসনাত-সাদিকরা।
এর আগে সকালে ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। পরে তার মরদেহ আবারও নেওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে গোসল শেষে সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে মিছিলসহ মরদেহ নিয়ে নিয়ে আসা হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।