তফসিল ঘোষণার পর কোন অবস্থানে রাজনৈতিক দলগুলো?
তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকাভাবে ত্রয়োদশ নির্বাচনের দিকে যাত্রা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ঠিক দুই মাস পর আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সাধারণত এ তফসিল ঘোষণা পর রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দেখা গেলেও এবার সেই কাজটি অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে নির্বাচন ঘিরে আলোচিত দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি।
তিনটি দলই এরইমধ্যে তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, জোট ও আসন সমঝোতা নিয়েও দলগুলোর কৌশলের নানা খবর আসছে গণমাধ্যমে। প্রথমবারের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনকে মনোনয়ন দিয়ে জামায়াতে ইসলামী যেমন আলোচনা তৈরি করেছে, তেমনি বেশ কিছু আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রকাশ্য বিক্ষোভের ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচনে অংশ নিতে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা দুইজন ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তারা এনসিপিতে যোগ দেবেন নাকি অন্য কোথাও যুক্ত হবেন সেটি নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন।
তফসিল ঘোষণার পর রাজনীতির মাঠে দলগুলো কে কোন অবস্থায় আছে? এক নজরে দেখে আসা যাক-
বিএনপি : দেশের বাইরে নেতা, মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থী
২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের তাগাদা দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। অবশেষে ১৬ মাস পর সেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও শারীরিক জটিলতা নিয়ে দলীয় প্রধান হাসপাতালে থাকায় এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে অবস্থান করায় দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দলটি কতটা গুছিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম করতে পারবে সেটি নিয়ে সংশয় আছে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।
যদিও এরইমধ্যে দুই দফায় ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশের মতো নানা কর্মসূচি দিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভ ও নানা সমালোচনার মুখে মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী বদল করে দলটি।
এদিকে জুলাই আন্দোলনের পর থেকেই ১৭ বছর ধরে লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার বিষয়ে আলোচনা থাকলেও এখনও দেশে ফেরেননি তিনি, যার কারণ হিসেবে আলোচনায় আছে তার নিরাপত্তা ইস্যুটি।
তারেক রহমান এখন পর্যন্ত দেশে ফিরে না আসায় নেতাকর্মীদের মধ্যেও দলের নেতৃত্ব নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে, যার প্রভাব ভোটের মাঠেও পড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন পর্যবেক্ষকরা।
তার ওপর মনোনয়ন নিয়ে দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর দ্বন্দ্বের যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তা জনমনে যেমন বিরূপ প্রভাব ফেলছে, তেমনি প্রচার-প্রচারণার গতিও ধীর করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়া জোটের বিষয়েও দলটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। যে আসনগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, সেখান থেকে কাউকে সরিয়ে নেয়ার সম্ভাবনাও কম বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফলে জোট বা আসন সমঝোতার জন্য এখন পর্যন্ত ২৮টি আসন ফাঁকা আছে বিএনপির। মনোনয়ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আন্দালিব রহমান পার্থের দুটি আসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বগুড়া ও চট্টগ্রামে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এলডিপির সভাপতি অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং পটুয়াখালী ও ঝিনাইদহে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি।
এছাড়া জোট ও মিত্র দলগুলোর মধ্যে পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার প্রার্থী হতে পারেন। এই আসনও ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। এদিকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসা বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম দল বিলুপ্ত করে দিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাকে মনোনয়ন দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি।
তবে মামুনুল হকের ঢাকা – ৭ আসন প্রথমে ফাঁকা রাখলেও দ্বিতীয় দফায় সেই আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালেই ঘোষিত ৩১ দফা অনুযায়ী বেশ আগে থেকেই জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলে আসছিল বিএনপি।
সরকার গঠনের সুযোগ পেলে সেখানে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দুই আসনে হিন্দু প্রার্থী জামায়াতের, ধর্মভিত্তিক আট দলের সাথে সমঝোতা
শুরু থেকেই নির্বাচনের আগে সংস্কার, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবি তুলে আসছিলো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী।
অন্যদিকে প্রার্থী ঘোষণার দিক থেকেও সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল দলটি। এ বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় সমাবেশ করে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই মাস নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২৯৬-এ। যদিও পরবর্তী সময়ে কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে দলটি।
সবশেষ তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত মোট ২৯৮টি আসনে এই দলের প্রার্থী দেয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনের জন্য ধর্মভিত্তিক আটটি দলের সাথে আসন সমঝোতার কথা ভাবছে দলটি।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ জানান তফসিল ঘোষণার পর আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তিনি বলেন, যেহেতু কাল নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হলো, এখন আমরা আট দল বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনার সূত্রপাত করে কে কোন আসনে প্রার্থী হলে সে এলাকায় বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেটিকে সামনে রেখে প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবো।
অর্থাৎ ঘোষিত তালিকা থেকেও অনেক প্রার্থীর বাদ পড়ার সুযোগ আছে। তবে আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণা ও জনসংযোগ শুরু করার কৌশলের কারণে ভোটের মাঠে দলটির বাড়তি সুবিধা পাবার সুযোগ আছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এছাড়াও প্রথমবারের মতো খুলনা ও কিশোরগঞ্জের দুইটি নির্বাচনী আসনে হিন্দু সম্প্রদায় থেকে দুইজনকে মনোনয়ন দেয়ার কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এটিকে ভোটের মাঠে তাদের জয়ের কৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি এ দলটি, যা নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেও পড়েছে দলটি। একইসাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় শীর্ষ নেতৃত্বের বিতর্কিত ভূমিকার বিষয়টি নিয়েও বারবার প্রশ্ন আর অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে।
তিন দলের সাথে নতুন জোটে এনসিপি
নির্বাচন, পিআর পদ্ধতি আর সংস্কারের মতো ইস্যুতে ঐকমত্য থাকলেও তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে থেকেই জুলাই সনদ কিংবা নির্বাচনী সমঝোতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সাথে দূরত্ব বাড়তে দেখা যায় জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি'র।
মাঝে বিএনপির সঙ্গে এবং পরে গণঅধিকার পরিষদের সাথেও দলটির জোটে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে সবশেষ সাতই ডিসেম্বর ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং এবি পার্টির সঙ্গে মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠনের ঘোষণা দেয় এনসিপি।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আরও বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে এবং আগামী নির্বাচনে ‘একসঙ্গে, একই মার্কায়’ লড়াইয়ের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
এর তিনদিন পর ১০ই ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে এনসিপি। জুলাই আন্দোলনে স্যালুট দিয়ে পরিচিতি পাওয়া একজন রিক্সাচালক এনসিপি থেকে ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়নপত্র নেন যা নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো মনোয়ন দেয়া হয়নি। একে ‘পলিটিক্যাল স্ট্যান্স’ বলেও সমালোচনা করেন কেউ কেউ।
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ, গন্তব্য নিয়ে নানা গুঞ্জন
নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে শুরু থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছিলেন গণঅভ্যুত্থানের সময় সম্মুখ সারির ছাত্র নেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অবশেষে তফসিল ঘোষণার আগের দিন উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
শোনা যাচ্ছিল, এনসিপিতে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা ছিল মি. ভূঁইয়ার। তবে পদ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। পরে গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেয়ার গুঞ্জনও ওঠে। প্রসঙ্গত, এর আগেও দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সবশেষ শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেইজে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের কথা জানান তিনি। এর আগে, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার আলাপও এসেছিল। বিশেষ করে তার সম্ভাব্য প্রার্থিতার আসনটি থেকে প্রথম দফায় দলটি কাউকে মনোনয়ন না দেয়ায় বিএনপির হয়ে এই আসনে তার প্রার্থী হবার আলোচনা ছিল রাজনৈতিক মহলে।
তবে দ্বিতীয় দফায় আসনটিতে বিএনপির তরফে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের আরেক ছাত্র প্রতিনিধি মাওফুজ আলমও। লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। আসনটিতে তার পক্ষে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে তার বড় ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমকে।
তবে মাহফুজ আলম নিজে কোনো দলে যোগ দেয়া কিংবা নির্বাচন করার বিষয়ে কথা বলেননি। শুরু থেকেই এনসিপি নেতাদের সাথে মি. আলমের সখ্য ছিল। দলটির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও তার প্রভাবের কথা আলোচনায় ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সে প্রভাব হ্রাস পেয়েছে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তাই এনসিপিতে তিনি যোগ দেবেন কি না সেটি নিয়েও নানা সংশয় আছে।
জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাচন
বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা দিয়ে জাতীয় পার্টিকেও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির মধ্যেও ভাঙন ধরেছে। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি অংশ কাউন্সিল করে কমিটি গঠন করেছে। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশটি এ নেতাদের বহিষ্কার করেছে।
উভয়পক্ষই নিজেদের ‘মূল জাতীয় পার্টি’ দাবি করছে এবং দলীয় প্রতীক লাঙ্গলের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ঐকমত্য কমিশন জাতীয় পার্টিকে কোনো আলোচনায় ডাকেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচন কমিশনের আলোচনায়ও ডাক পায়নি জাতীয় পার্টির কোনো পক্ষ।
জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন অংশ ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ) নামে একটি নতুন জোট গঠন করেছে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি)সহ মোট ১৮টি দল থাকছে এ জোটে।