আসিফ মাহমুদের আসনে প্রার্থী দেয়নি এনসিপি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ আসনটিতে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা করলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আসিফের সহযাত্রীদের দলজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এর মধ্যে ঢাকার ১,৪,৫,৭, ৯,১১,১২,১৩,১৫,১৬,১৭,১৮,১৯, ও ২০ মোট ১৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি।
এদিকে উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় নিজের ভোটার এলাকা কুমিল্লা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করতে গত ৯ নভেম্বর ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, ঢাকার কোনো একটি আসন থেকে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে তার লড়াই করার ইচ্ছা রয়েছে। এর মধ্যে গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এর পরপরই তার গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
এদিকে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফাইট ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও পোস্টে আসিফ মাহমুদ এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন।
নিজের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক ভিডিওবার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ এসেছে দীর্ঘ ১৭ বছর পর। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিভাজনের রাজনীতি নয়; প্রতিটি নাগরিকের জন্য জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং নতুন সামাজিক, রাজনৈতিক ও জিওপলিটিক্যাল বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন জরুরি। এ লড়াই সহজ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মতিউর রহমান, তারামন বিবি, নূর হোসেন, ফেলানী, আব্বার ফাহাদ, আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের আত্মত্যাগের প্রেরণা নিয়ে আমি এই পুনর্গঠন ও বিনির্মাণের লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট এবং কামারগীরচরের একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কোনো বড় রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা নেই, তবে অসংখ্য নিবেদিত কর্মীর সমর্থন আছে।’