এ দেশে তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন: সাদিক কায়েম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, এ দেশে তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইনসাফের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আগামী দিনেও ইনসাফের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল) আসনের জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তারুণ্যের উৎসব ও নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘দাঁড়িপাল্লার প্রতিনিধি নির্বাচনে তরুণরা অপেক্ষায় আছেন। ৫৪ বছরের বঞ্চনাকে ভাঙার জন্য, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ মুখিয়ে আছে ইনসাফের পক্ষে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি ও চাদাবাজ কোনো নেতৃত্ব চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করেছি। আগামী দিনেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করা হবে ইনশাল্লাহ।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘১২১ বছর আগে আমরা দেখেছিলাম একজন স্বৈরশাসক লক্ষণ সেন, যিনি আমাদের ওপর শোষণ করছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমরা বলতে চাই শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া শুধু পালিয়ে যাওয়া ছিল না, তার পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইনসাফ নিশ্চিত হয়েছে।’
সমাবেশে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মাস্টার বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না, কেউ যদি আমাদের ভয় দেখায় কেন্দ্র দখল করবে, ভোট চুরি করে পালিয়ে যাবে, এ ধরনের ভয়কে আমরা মোটেও পরোয়া করি না। সবাইকে কেনা সম্ভব হলেও তরুণদের কেন সম্ভব নয়। আমরা বলতে চাই, গোটা দেশের মানুষ ইসলামিক দলগুলোর কাছে নিরাপদ।’
তারুণ্যের উৎসব শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল আর ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। মুহূর্তেই পরিপূর্ণ হয়ে উঠে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পাবলিক ক্লাব মাঠ।