দলীয় কার্যালয়ে সার-বীজ উদ্ধার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাখ্যা দিল জামায়াত
ঝিনাইদহ সদরে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে সরকারি কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) জেলার সদর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আলমগীর হুসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর কার্যলয় থেকে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধারের নামে স্থানীয়ভাবে ‘মব’ সৃষ্টি করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে সার ও বীজগুলো রাখা হয়েছিল। উপরোক্ত সার বীজগুলো উপজেলা থেকে ৩০জন প্রকৃত কৃষককে দেয়া হয়েছে। বীজগুলো তারা বাসায় নিয়ে গেছে এবং রাত হয়ে যাওয়ার কারনে সারগুলো ইউনিয়ন অফিসে রেখে যায় পরের দিন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
তবে শুক্রবার (৩১ নভেম্বর) রাত্রে স্থানীয় বিএনপির কিছু 'কুচক্রী নেতার যোগসাজশে মধ্যরাতে কিছু স্থানীয় সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জামায়াত কর্মীদের চোর প্রমাণের জন্য মব সৃষ্টি করে সার উদ্ধারের নাটক তৈরি করেছে। এই ঘটনা গণমাধ্যমেও সমানভাবে প্রচারিত হচ্ছে আমরা এর জোর প্রতিবাদ করছি।
বাংলোদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক সংগঠন। যেই সংগঠন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সুরাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু সন্ত্রাসী লোকজন আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে এই মব তৈরী করেছে। যারা এই মব তৈরী করেছে তারাই নিজেরা জনগনের সম্পদ আত্মসাৎ করে, যার অনেক দৃষ্টান্ত বাংলোদেশে রয়েছে। তারা চাদাবাজি, জবর দখল, লুট-তরাজ জুলুম-অত্যাচারসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াই তারাই জামায়ের বিরুদ্ধে এই অপবাদ দিচ্ছে এটা হস্যকর ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা।
পরিমাণ নিয়ে বিতর্ক
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সার ও বীজ উদ্ধারের কথা প্রচারিত হলেও, মাত্র সাত প্যাকেট সরিষার ও মসুরির বীজ ও চার বস্তা সার সেখানে পাওয়া গেছে।
৫আগস্ট ২০২৪ এর পরে জামায়াতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে যার কারনে সূরাট ইউনিয়নের বিএনপির সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটতরাজে নিয়োজিত যারা তারাই আদর্শিকভাবে জামায়াতকে মোকাবেলা করতে না পেরে বিভিন্নভাবে জামায়াতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গতকালকে সুরাটের এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আমানতদার সংগঠন যার অসংখ্য নজির সমাজ ও রাষ্ট্রে বিরাজমান। জনগণের আমানত জামায়াতের কাছে নিরাপদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিমাসে মানবতার কল্যানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে থাকে। সামান্য এই কয় টাকার মাল আত্মসাৎ করবে এটা একেবারেই
হাস্যকর।