নভেম্বরই গণভোট চায় ৮ রাজনৈতিক দল
নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ রাজনৈতিক দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন দলগুলোর প্রতিনিধিদল।
দুপুর ২টায় রাজনৈতিক দলগুলো আলাদা আলাদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের হাতে তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেন। এর আগে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা।
অন্য দলগুলো হলো- খেলাফতে মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং খেলাফত আন্দোলন৷
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, ইসি সচিব আখতার আহমেদ সহ ৮ রাজনৈতিক দলের চারজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, মূলত তিনটি বিষয়ে একমত হয়ে আজকে আটটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আলোকে নির্বাচন আয়োজন করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই নভেম্বরে গণ ভোট দিতে হবে। যদি এমনটি না হয় তবে আগামী ৩ নভেম্বর ৮টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বসবেন এবং বৈঠক শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শেরে বাংলানগরের আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন দলগুলোর নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর শেরে বাংলানগরের আগারগাঁও মোড় (মেট্রোরেল স্টেশন) থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা ।
আট দলের দাবিগুলো হলো- ১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা। ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।