৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারত: মঞ্জু
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারতো, তবে রাজনৈতিক নেতাদের ভুল, অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়ের অভাবে তা সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও ২০১৩ সালের বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসান। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ২০১৩ সালে আলেম সমাজের নেতৃত্বে দেশজুড়ে গণজাগরণ হয়েছিলো। আলেম সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজস্ব খরচে লাখ লাখ মানুষ সেদিন ঢাকায় সমবেত হয়েছিলো। সেদিন হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠেছিলো, কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়হীনতা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই সেটা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারেনি। নাহয় সেদিনই ইতিহাস ভিন্নভাবে লিখা হতে পারতো।
তিনি বলেন, আজ অনেকে জুলাইয়ের ক্রেডিট নিতে মরিয়া কিন্তু ২০১৩ সালের মহাসমাবেশে শাপলার আন্দোলনে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল। সেখানে যেহেতু ক্র্যকডাউন হয়েছিল এবং আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছিল আলেমরা হেরে গেছে। তাই সেই আন্দোলনের ক্রেডিট কেউ নিতে চায়নি।
ঘটনাপরবর্তী ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে মঞ্জু বলেন, সেদিন শুধু অনেক মিডিয়া কর্মীই চাকরি হারাননি, অনেককেই আত্মগোপনে যেতে হয়েছে। দিগন্ত টেলিভিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ ও ফুটেজ থাকার কারণে, পুলিশ দিগন্ত সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বেড়াতো। সেদিন শহীদ পরিবারের সদস্যরাও পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, কারণ পুলিশ গিয়ে তাদের হুমকি দিতো।
খুনীদের বিচারের দাবি জানিয়ে এবি পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিচার সম্পন্ন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাক্ষ্য দেওয়া। আমাদের সন্তান, ভাইদের খুনের ন্যায়বিচারের জন্য সবাইকে এগিয়ে এসে সাক্ষ্য দেয়ার এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ পরিবারগুলোর সবার হাতে ১০ লাখ টাকার করে উপহারের চেক তুলে দেওয়া হয়।