বিএনপির সম্মেলনে জাল ভোট নিয়ে সংঘর্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ছেলেকে ছুরিকাঘাত
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলনে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শহিদুল্লাহ (৩৪) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। তিনি নুরনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন সরদারের ছেলে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত শহিদুল্লাহ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাদশা ঢালীর পক্ষে ভোট দিতে এসে একাধিকবার বুথে প্রবেশ করে জাল ভোট দেন শাহজালাল (২৪) নামের এক যুবক। একপর্যায়ে শহিদুল্লাহ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেললে শাহজালাল পকেট থেকে ছুরি বের করে তাকে আঘাত করেন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা শাহজালালকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে পাশের একটি দোকানে আটকে রাখে। তবে কিছুক্ষণ পর রাজবাড়ী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও যুবদল নেতা রাজু আহমেদ লোকজন নিয়ে এসে ওই দোকানের তালা খুলে তাকে বের করে নিয়ে যান।
শাহজালাল উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট শ্যামনগর গ্রামের সুরাত আলীর ছেলে।
বিএনপির নুরনগর ইউনিয়ন সম্মেলনে সহিংসতার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম আলমগীর বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলন পৃথক কেন্দ্রে আয়োজনের কথা থাকলেও এক কেন্দ্রে আয়োজন করায় ভিড়ের সুযোগে ওই যুবক একাধিকবার জাল ভোট দেন। ধরা পড়ার পর সে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়মান কবীর অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলনকে ঘিরে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা বারবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। বারবার অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।