এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুষ্টিয়া জেলা শাখার দুই নেতা সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) এনসিপি কুষ্টিয়া জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া দুই নেতা হলেন- জেলা শাখার প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. ইবাদত আলী এবং দুই নম্বর সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম সবুজ। তাদের পদত্যাগপত্রের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. ইবাদত আলী লিখেছেন, আমি মোহাম্মদ ইবাদত আলী, জুলাই ২০২৪ আন্দোলনে একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে সক্রিয় ছিলাম। পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করি। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠিত হলে কর্তৃপক্ষ আমাকে কুষ্টিয়া জেলার প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেয়। এ জন্য আমি এনসিপি নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে বর্তমানে পারিবারিক দায়িত্ব ও বয়সের কারণে এ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তবুও বৈষম্য, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদমুক্ত বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে যারা রাজপথে থাকবে, তাদের প্রতি আমার নৈতিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, দুই নম্বর সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম সবুজ তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, আমি সূচনালগ্ন থেকেই এনসিপির কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম এবং বিশ্বাস করেছিলাম দলটি জুলাই আন্দোলনের মূল্যবোধ ধারণ করবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বলতে হচ্ছে, দল তার পথ হারিয়েছে। নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে আপসনীতি ও সুবিধাবাদের প্রবণতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থী।
তিনি আরও লেখেন, সেই আন্দোলন কেবল ইতিহাস নয়, এটি বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে এক দুর্বার গণঅভ্যুত্থান ছিল। আজকের এনসিপির কার্যক্রমে সেই মূল্যবোধ প্রতিফলিত হচ্ছে না; বরং ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কোনো সংগঠনে থাকা আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়। তাই আজ থেকে এনসিপির সব ধরনের দায়িত্ব ও সদস্যপদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।