রাজধানীতে সরব ‘নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ’, সকালে আগারগাঁও, সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে মিছিল
রাজধানীতে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বাংলামোটর, উত্তরা ও মিরপুরে মিছিল করে দলটি। এর পরদিন আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। একই দিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে বড় আকারের বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ।
জানা গেছে, রাজধানীর ধানমন্ডিতে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। শনিবার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডের রাপা প্লাজার সামনে থেকে ৩২ নম্বর সড়কের দিকে মিছিল হয়েছে। এ ঘটনায় পরে দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
মিছিলে অংশ নেওয়া এক যুবলীগ নেতা বলেন, “সরকারের দমন-পীড়ন, নিরীহ নেতাকর্মীদের ধরপাকড় এবং শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এখন আর জেলকে ভয় পাই না, কত জেলে ভরবে তা আমরা দেখব। দিনদিন মিছিল বাড়তে থাকবে।”
রাপা প্লাজার সামনে হকার আব্দুস সালাম বলেন, হঠাৎ ‘অসংখ্য লোক’ রাপা প্লাজার সামনে মিছিল শুরু করে। তারা জয় বাংলা ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। সরকারের বিরুদ্ধেও তারা স্লোগান দেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের দিকে একটা মিছিল হয়েছিল। পুলিশের তৎপরতায় মিছিলটি বেশিদূর যেতে পারেনি। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এর আগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। প্রায় হাজারো মানুষ এতে অংশ নেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান—“শেখ হাসিনা”, “জয় বাংলা”, “জয় বঙ্গবন্ধু”, “শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে” ইত্যাদি। মিছিলটি বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে শুরু হয়ে আগারগাঁও মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিন দিন পর (৮ আগস্ট) গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। নির্বাহী আদেশে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও মাঠের মিছিল পুরোপুরি থামাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।