০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৯

অপারেশনের বেডে ডাক্তারকে যা বলেছিলেন জামায়াত আমীর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাকে যখন অপারেশনের বেডে শোয়ানো হলো, সেসময় আমি ডাক্তারদের বলেছিলাম, আপনাদের কারো হাতে আমার সুস্থতা নেই। আমি ব্শ্বিাস করি, আমার সুস্থতা আল্লাহর হাতে। তবে আমি এটা জানি, সেই ওয়াসিলাটা হয়তো আপনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে ডাক্তারকে বলেছিলাম, ভুলে যান আমার পরিচয়। হয়তো আমার এ পরিচয় আপনার স্নায়ু চাপ বেড়ে যাবে। আমি আশা করি, আপনি আর দশটা রোগীর মতো আমাকে ভাববেন। ডাক্তার অর্থ গাল হেসে বললেন, চাইলেই কি এটা ভুলে যেতে পারি।’

আজ শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনে এসে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমীর বলেন, ‘জাতীয় সমাবেমে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমি যখন পড়ে যাই, তখন অনেকেই টিভি স্ক্রিনের সামনে ছিলেন। এমনি একজন ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালের খ্যাতিমান হৃদরোগ চিকিৎসক জনাব অধ্যাপক ড. মোমিনুজ্জামান। তিনি টিভি স্ক্রিনের সামনেই ছিলেন। আমার পড়া দেখে তিনি সাথে সাথে আমাদের পরিচিত একজনকে বলেন, তার (জামায়াত আমির) পড়ে যাওয়ার কারন ব্রেইন নয়, হার্ট হতে পারে। অতএব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আমার দেখা দরকার। আমি আশা করি, আপনারা ব্যবস্থা নিবেন।’

তিনি বলেন, ‘ড. মোমিনুজ্জামানের একটা সিরিয়ালের জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সেই লোক তার দরদ, ভালোবাসা, দায়বোধ থেকে তিনি নিজেই বলেছেন, তিনি আমাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখতে চান। আলহামদুল্লাহ, আমি নিজেকে সামলে নিয়ে তার কাছে গেলাম। যাওয়ার আগে আমার পরিচিত মহলের বিশষজ্ঞ বিশেষ করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্নায়ু বিশেষজ্ঞ যারা তাদের একটা বোর্ড বসল। সেখানে ২২ জন চিকিৎসক ছিলেন। এর আগে যে পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে, এর প্রেক্ষিতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন, আমার হার্টের ব্লক আছে। তারা আমাকে বললেন, ব্লকের যে ন্যাচার আমরা ধরতে পেরেছি, এটি একটু জটিল। মনে হচ্ছে বাইপাস সার্জারির দিকে যেতে হবে। যেহেতু অপারেশনটা জটিল হবে, আমাদের পরামর্শ থাকবে চিকিৎসা আপনি দেশের বাইরে করান।’

জামায়াত আমীর জানান, ‘আমি হাসতে হাসতে জিঙ্গেস করলাম দেশটা কোনটা হতে পারে। তারা বললেন, আমাদের ফার্স্ট চয়েজ সিঙ্গাপুর। এরপরে আমি জিজ্ঞেস করলাম আর কোনটি হতে, তারা বললেন ব্যাংককের একটি হাসপাতাল। তারা আমেরিকার কথাও বললেন। আমি শ্রদ্ধার সাথে তাদের পরামর্শ শুনলাম। ভালোবাসা দিয়ে বললাম, আপনাদের পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। তাদের বললাম, সেদেশগুলোতে আল্লাহ আছেন কি না? তারা বললেন আছে। আমি বললাম বাংলাদেশে আছে কি না? তারা বললেন, আছে। তাহলে যে আল্লাহ আমাকে সেখানে সুস্থ করে দিতে পারেন, আমি বিশ্বাস করি, সে আল্লাহ আমাকে দেশেও সুস্থতা দান করতে পারেন।’