এবার আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে চাই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৬ বছরে আমরা কেউ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারিনি, শেখ হাসিনা বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বিগত ১৬ বছরে দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। এবার আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে চাই। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দোহার উপজেলায় পূর্ব জয়পাড়া বাজারের স্বাধীনতা চত্বরে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য ৪৭ বছর ধরে সংগ্রাম করে আসছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চললেও আমরা কখনো মাঠ ছেড়ে পিছুপা হইনি।’
তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে ভোটে অভ্যস্ত, সেভাবেই ভোট দেব। সরাসরি ভোট হবে, না আনুপাতিক ভোট হবে, সেটা আমরা বুঝি না। জনগণ জানেই না আনুপাতিকের অর্থ কী? আমরা এত সব বুঝি না। শেখ হাসিনা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। আমরা সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি জনগণের অধিকার রক্ষার এক প্রতীক। আমাদের সংগ্রাম তত দিন চলবে, যত দিন না গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং এই আন্দোলনে বিজয় আমাদেরই হবে।’
আরও পড়ুন: ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, শুধু ডাকসু নির্বাচনের দিন বন্ধ থাকবে ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা
তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাককে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট হওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তার মনোনয়নপত্র বাতিলের চেষ্টা করা হয়েছিল। এভাবেই তছনছ করা হয়েছিল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার।
আলোচনা সভা শেষে জয়পাড়া কালেমা চত্বর থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জয়পাড়া থানার মোড় থেকে করমআলীর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তমিজ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, ঢাকা জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হাসেম বেপারীসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।