রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের চেয়েও কক্সবাজারে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হাসনাত-সারজিসদের, প্রশ্ন মাসুদ কামালের
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ (৫ আগস্ট)। বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠান রেখে কক্সবাজারে গিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা। দুপুরের পর এই খবর জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে আলোচনা-সমালোচনা।
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের চেয়েও কক্সবাজারে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিনা হাসনাত-সারজিসদের, সেই প্রশ্ন তুলেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেছেন, প্রথমে কথা ছিল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হবে জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান। সাবেক এক সংসদ সদস্য খবরটা শুনে বললেন, দক্ষিণ প্লাজায় তো সাধারণত জানাজার নামাজ হয়। এত বড় আয়োজন সেখানে কীভাবে হবে? পরে দেখলাম- না, স্থান পরিবর্তন করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে করা হচ্ছে।
ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ব্যাংককে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। জেলা প্রশাসকরাও হয়ত লোকজন নিয়ে আসবেন। কয়েকটা ট্রেনও ভাড়া নেওয়া হয়েছে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে লোক আনতে। কত লোক হতে পারে?
মাসুদ কামাল বলেন, এর মধ্যে আবার দেখলাম, জুলাই আন্দোলনের কৃতিত্ব ও নেতৃত্বের দাবিদারদের কয়েকজন- হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারা, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী এই অনুষ্ঠান ফেলে গেছেন কক্সবাজারে। সেখানে নাকি ওনারা বৈঠক করবেন সদ্যসাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে! বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ-সন্দেহ নেই। কতটা গুরুত্বপূর্ণ? নিশ্চয়ই রাষ্ট্রীয় এই অনুষ্ঠানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। আসলে কী হতে যাচ্ছে?
জানা গেছে, কক্সবাজারে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারা, নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী ও খালেদ সাইফুল্লাহ। তাদের এই সফর ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে, তারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে কক্সবাজার গিয়েছেন।