নতুন সংসদীয় আসন ‘গাজীপুর-৬’: উন্নয়ন ও জনসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা নেতাদের
গাজীপুরবাসীর বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে অবশেষে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘গাজীপুর-৬’ নামে একটি সংসদীয় আসন। নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রস্তাবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৪ থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই নতুন আসনটি। এর মাধ্যমে গাছা, পূবাইল ও টঙ্গী অঞ্চল নিয়ে আলাদা একটি সংসদীয় এলাকা তৈরি হয়েছে, যা আগে গাজীপুর ১ ও ২ এ অংশ ছিল। নতুন এ আসন নিয়ে উন্নয়ন ও জনসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় নেতারা।
এতে গাজীপুরের মোট আসন দাঁড়াল ছয়টি। গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) অপরিবর্তিত রাখা হলেও বাকি আসনগুলোর সীমানা আংশিকভাবে পরিবর্তন হয়েছে।
আসন বৃদ্ধির বিষয়ে গাজীপুরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-২ আসনের এলাকা কমানো সময়োচিত পদক্ষেপ। এখন উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর হবে। নাগরিকরা যথাযথ সেবা সহজে নিতে পারবে।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর হোসেন আলি বলেন, ‘গাজীপুরে একটি আসন বাড়ল, একজন সাংসদ বাড়ল এতে নগরবাসীর দাবি সংসদে জোরালোভাবে তোলা যাবে সাংসদে। এই আসনটি বাড়ায় জনগণ অত্যন্ত খুশি।
গাজীপুর মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন জানান, আমি ২০০২ সাল থেকে দাবি জানিয়ে আসছি গাজীপুরে যেন ০২ আসনকে দুইটি আসনে রূপান্তরিত করা হয়। এতে জনগণ উপকৃত হবো সেবা পাবে সহজেই। এখন সেই দাবি পূরণ হয়েছে জনগণ থেকে রাজনৈতিক নেতারা সবাই খুশি। সংসদে যাবে গাজীপুর থেকে ৬ জন সংসদ সদস্য তারা গাজীপুরের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে।
জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। নতুন আসন যুক্ত হওয়ায় উন্নয়ন ও জনসেবায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটি দীর্ঘদিনের জনগণের চাহিদা ছিল এবং তা বাস্তবায়ন হয়েছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটি সদস্য অ্যাড. আলী নাছের খান বলেন, গাজীপুরে একটি আসন বৃদ্ধি পেয়েছে এটি গাজীপুরের জনগণের জন্য সুখবর। গাজীপুর ২ আসনে ৮ লাখের বেশি ভোটার ছিল। একজন এমপি ৮ লাখ মানুষের কথা শুনা তুলে ধরা কঠিন ছিল। নিঃসন্দেহে এটি গাজীপুরের জন্য সুখবর। তিনি আর বলেন, বাংলাদেশে অন্ততপক্ষে আরো ১০০টি আসন বৃদ্ধি করলে জনগণের পাশে জনপ্রতিনিধিরা সহজে থাকতে পারবেন।