১২ জুলাই ২০২৫, ২১:৩৯

‘মানুষে মানুষে বিদ্বেষ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে’—জি এম কাদেরের উদ্বেগ

জি এম কাদের  © ফাইল ফটো

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি নিহত সোহাগের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে জি এম কাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মব ভায়োলেন্সের (হিংস্র জনতা কর্তৃক হত্যা) ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশব্যাপী যে ভয়ার্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। মানুষে মানুষে ঘৃণা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা ও হিংস্রতা ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গেছে।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে এ দেশের সূর্যসন্তানরা এমন অমানবিক পরিস্থিতির জন্য প্রাণ দেননি। আমরা একটি নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্র চেয়েছিলাম, যেখানে ন্যায়বিচার ও সম্প্রীতি থাকবে।”

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)–এর তথ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত ১০ মাসে সারা দেশে মব ভায়োলেন্সের ঘটনায় ১৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮০ জন, খুলনায় ১৪, রাজশাহীতে ১৬, রংপুরে ৭, সিলেটে ৫, চট্টগ্রামে ২৯, বরিশালে ১৭ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন এমন নির্মমতার শিকার হয়েছেন।”

তিনি অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কড়া হুঁশিয়ারি, এমনকি সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সতর্কতাও মব ভায়োলেন্স থামাতে পারছে না। দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জি এম কাদের দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মব ভায়োলেন্স সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সমন্বয়ে দেশে একটি নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ ও রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা।”