০১ জুলাই ২০২৫, ২০:২৮

বিএনপি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায়: তারেক রহমান

তারেক রহমান  © সংগৃহীত

বিএনপি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘গণঅভ‍্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত দলীয় কর্মসূচির উদ্বোধক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।।

তিনি বলেন, একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। জনগণের সরাসরি ভোটে জবাবদিহিমূলক ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়। বিএনপি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায়।

তারেক রহমান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট পলায়নের পরই আমার প্রথম বক্তব্যে বলেছিলাম- তার মধ্যে ছিল- গণঅভ্যুত্থানে যারা তাদের সন্তান হারিয়েছেন সেই মায়েদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। অনেকেই প্রিয়তম স্বামী ও প্রিয়তম ভাইকে হারিয়েছেন। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ৫ আগস্ট আরেকটি বিজয় দেখেছে বাংলাদেশ। একজন শহীদ শুধু আপনাদের স্বজন নয়, তারা দেশের গৌরব ও মুক্তিকামী জনতার। তাদের জানাই শ্রদ্ধা।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন মানুষ ভোলেনি। তেমনই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিভিন্ন স্থাপনা শহীদদের নামে নামকরণের চিন্তা আমাদের আছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের জন্য কিছু ভাবনা তুলে ধরছি। আমরা দেশকে একটি চিরস্থায়ী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চাই, যেখানে জনগণের হাতে থাকবে সব ক্ষমতা। তবেই রাজনৈতিক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি।

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ উপলক্ষে ১ জুলাই ঢাকায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির সূচনা হয়।

‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার, আহত নেতাকর্মী, এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতাসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনে যুক্ত ৬৩টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরতে এ সময় একটি প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) প্রদর্শিত হয়।