২২ জুন ২০২৫, ২১:৩৪

‘শাপলা’ প্রতীক পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই: নাহিদ

নাহিদ ইসলাম  © সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় নতুন প্রতীক হিসেবে যুক্ত হলে তা বিধিসম্মতভাবে এনসিপির জন্য বরাদ্দ হবে বলে আশা রাখেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্য একটি দল ‘শাপলা’ প্রতীক দাবি করলেও তা নির্বাচন কমিশন নিষ্পত্তি করবে বলে জানায় দলটি।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপি প্রতিনিধি দল। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপি দল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল শর্ত পূরণ করে কাগজপত্র দাখিল করেছে। তাঁরা তিনটি মার্কার জন্য আবেদন করেছেন—শাপলা, কলম ও মোবাইল। এর মধ্যে শাপলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় প্রতীককে মার্কা হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইন পর্যালোচনা করে তাঁরা দেখেছেন, এতে কোনো বাধা নেই। জাতীয় ফল কাঁঠাল অন্য একটি দলের মার্কা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হওয়ায় তাঁরা এই প্রতীক চেয়েছেন। জাতীয় প্রতীকের মধ্যে শাপলা, ধানের শীষ ও তারকা রয়েছে। এর মধ্যে তারকা ও ধানের শীষ দুটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, শাপলা গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত। এনসিপি যেহেতু সাধারণ মানুষের দল, তাই তাদের জন্য কাজ করতে শাপলা প্রতীককে বেছে নেওয়া হয়েছে।

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিষয়ে তিনি জানান, তাঁরা সকল শর্ত পূরণ করে আবেদন করেছেন এবং কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এনসিপি এর আগে প্রবাসীদের জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এরআগে দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জমা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রবিবার (২২ জুন) বিকেলে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে আবেদনপত্র জমা দেন দলটির নেতারা। এ সময় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিকল্প প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’-এর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।