জামায়াতের ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে না যাওয়ার কারণ জানা যাবে কাল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার দ্বিতীয় দিনে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তাদের এই অনুপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঠিক কী কারণে জামায়াত বৈঠকে অংশ নেয়নি, সে বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আগামীকাল বুধবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমের সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করবেন বলে জানা গেছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, বৈঠকে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা কাল দলের নায়েবে আমির দেবেন। তবে সেটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হবে, না কি লিখিত বিবৃতি আকারে জানানো হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
জামায়াত ইসলামী কেন আলোচনায় অংশ নেয়নি, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও দলটির আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত।
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
বৈঠক পরবর্তী এক বিবৃতিতে দলটি জানায়, ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে আমরা স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখছি। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক ও যৌথ বৈঠক করেছেন।
বিবৃতিতে দলটি হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, বিগত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা যে নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, তা দেশের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর পরপরই লন্ডনে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং ও যৌথ বিবৃতি প্রদান একটি অনভিপ্রেত দৃষ্টান্ত। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিভ্রান্তিকর বার্তা দেয়। আমাদের মতে, দেশ ফিরে এসে সকল দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে মত প্রকাশ করা অধিক গ্রহণযোগ্য হতো।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়। জামায়াত ইসলামী বৈঠকে অংশ না নিলেও বিএনপি, এনসিপি, সিপিবি, বাসদ, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।