২৯ মে ২০২৫, ১২:৩৭

যানজটের জন্য দুর্ভোগ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ ছাত্রদল-যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের

ছাত্রদল-যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

তারুণ্যের সমাবেশে যানজটের কারণে জনগণের যে দুর্ভোগ হয়েছে সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দল। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,  কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও সমর্থনের জন্য আমরা দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ-বিশেষ করে তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দল, মত, শ্রেণি ও পেশার পার্থক্য ভুলে যে ঐক্য, সাহস ও সচেতনতা জনগণ দেখিয়েছে, তা আমাদের এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে এবং ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে নতুন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।তবে ঢাকায় এবং অন্যান্য শহরে তারুণ্যের উত্তাল তরঙ্গে লক্ষ-লক্ষ মানুষের উপস্থিতির ফলে নগরবাসীর যে সাময়িক দুর্ভোগ হয়েছে, বিশেষ করে যানজটের কারণে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

তারা জানান, ‘আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিকে নির্বিঘ্ন ও সফল করতে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। ঢাকার সমাবেশ শেষে আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে তিনটি সংগঠন যৌথভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এ কাজে সহায়তাকারী সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেও জানাই বিশেষ ধন্যবাদ।

আপনাদের সহযোগিতা, পেশাদারিত্ব এবং নিরলস পরিশ্রম ছাড়া আমাদের এই কর্মসূচি দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হতো না । আপনাদের রিপোর্ট, ছবি ও কভারেজ আমাদের বার্তাকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। এজন্য জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিএনপির এই আয়োজন ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণদের চিন্তা, প্রত্যাশা ও সমস্যার প্রতিফলন না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হতে পারে না।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার যে প্রয়াস নেয়া হয়েছিল, তা শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না এটি ছিল একটি বৃহৎ নীতিগত উদ্যোগ।’

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘বিএনপি সবসময় তরুণদের কেবল ভোটার হিসেবে নয়, বরং রাষ্ট্র গঠনের স্থপতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। এই ধারাবাহিক কর্মসূচি এবং এর পেছনে থাকা আদর্শ, আমাদের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক দর্শন ও লক্ষ্যকে আরও স্পষ্ট করেছে।

তরুণদের ভোটাধিকার হরণ আজও একটি জাতীয় সংকট। এটি শুধু একটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নয়, বরং একটি প্রজন্মকে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের মৌলিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার নিষ্ঠুর উদাহরণ। ইতিহাস সাক্ষী, অতীতেও এই দেশের তরুণরাই ভোটের অধিকার ছিনিয়ে এনেছিল-তারা রাজপথে লড়েছে, রক্ত দিয়েছে, অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আজ আবার তারা সেই একই সংকটে দাঁড়িয়ে।

দেশজুড়ে কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শুধু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি জাতীয় ঐক্যের ইঙ্গিত পাইনি, বরং স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি নতুন প্রজন্মের সেই লড়াইয়ের পুনর্জাগরণ-যেখানে তরুণরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় আবারও সংগঠিত হচ্ছে, কথা বলছে, এবং নিজ অবস্থান থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা জানে, ভোটাধিকার শুধু ভোট দেওয়ার বিষয় নয় এটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের শক্তি। এই জাগরণই একদিন একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং উনার রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি রচনা করবে।’