সরকারের দেওয়া ৩০ দিনের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১২ মে) সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানিয়েছে হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের দেওয়া ৩০ দিন সময়ের ব্যাপারে আমরা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি নেব।’
শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শাহবাগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রবিবার (১১ মে) সরকারি বন্ধ রয়েছে, তাই সোমবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের একটি পরিপত্র জারি করা হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দলীয় বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে আমলে নেওয়ার যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। কারণ এই সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতদিনে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের দল হিসেবে বিচারের বিধান যুক্ত ছিল না। কিন্তু আজকে দল হিসেবে বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
তবে আমরা মনে করি এতটুকুই যথেষ্ট নয়। বিগত সময়ে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা দেখেছি। এ ছাড়াও গণহত্যাকারী হিসেবে তাদের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা দেখেছি। উলটো জুলাইয়ের যোদ্ধারা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হচ্ছেন। জানুয়ারিতে আমাদের দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসেই সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই আমরা এটির কার্যকরী সংস্কার চাই।
প্রেস ব্রিফিং শেষে চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে বৈঠকে বসেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, আলী আহসান জুনায়েদ, শরীফ ওসমান হাদীসহ বেশ কয়েকজন।