ডাকসু: নারী প্রার্থীদের যেসব উদ্যোগ প্রশংসা কুড়াচ্ছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৬ AM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৬ PM
দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমজমাট প্রচার-প্রচারণায় সরগরম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সবাই নানাভাবে শিক্ষার্থীদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
তবে এরমধ্যেও কিছু প্রার্থীর ব্যত্রিক্রমী উদ্যোগ নজর কাড়ছে সবার। এগুলো ভোটারদেরে মন জয় করার জন্য করলেও প্রশংসাও পাচ্ছেন তারা। ডাকসু কিংবা হল সংসদে নির্বাচিত হয়েও তারা এ ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
কয়েকদিন ধরে ডাকসুর প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরণের লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার। সেগুলো আবার ক্যাম্পাসেই ফেলে দেওয়ায় নোংরা হচ্ছে। নিজে নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও এভাবে নোংরা না করার ব্যাপারেও সচেতনতা চালাচ্ছেন কানেতা ইয়া লাম-লাম। তিনি ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কমনরুম এবং ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন।
ক্যাম্পাস থেকে লিফলেট ও আবর্জনা পরিষ্কারের ছবি ফেসবুকে দিয়ে তিনি লিখেছেন ‘হা ছবিগুলো সচেতনতার অংশ হিসেবে আমি ও তানজিল ইচ্ছা করে তুলিয়েছি। কেউ লুকিয়ে তুলে আমাকে দেয়নি। আমাদের দুজনের পক্ষে এত বড় ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতার কাজ করা সম্ভব ও না। ২৮ বছর পর ডাকসু আসছে। সে কারণে প্রার্থীরা লিফলেট ও প্রচারণা সামগ্রী দান করছে। প্রত্যেকটা লিফলেটে প্রার্থীদের খরচ হচ্ছে। দয়া করে সেগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবেন। যথাতথা ফেলবেন না। আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস নির্বাচনের কারণে যেন আবর্জনায় পরিণত না হয়।’
তার এ উদ্যোগের প্রশংসা করে শুভ কামনা জানিয়েছেন অনেকে। আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্তব্য করেছেন, ‘নেতৃত্ব এমনি হওয়া উচিৎ। সেটাই জাতির প্রত্যাশা।’ আর আসিফ ইকবাল চয়ন লিখেছেন, ‘এই পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত থাকবে তোমাদের নেতৃত্বে এবং আগামীর বাংলাদেশ একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ হবে।’
রোকেয়া হল সংসদে নির্বাচন করছেন সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ মনোনীন প্যানেল- ইসরাত জাহান তন্বী, সায়মা আক্তার প্রমি এবং ফাল্গুনী দাস তন্বীর পরিষদ। তারাও প্রচারণায় নিয়েছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। হলের আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য উৎসাহিত করছেন ছাত্রীদেরকে।
এখানেই শেষ নয়। হলে তারা বেশ কিছু ময়লার ঝুড়িও বসিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু স্থানে। ঝুঁড়িতে তাদের পরিষদের নাম উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। যত্রযত্র ময়লা না ফেলুন, নিজের হল নিজেই পরিষ্কার রাখুন।’
তাদের এ উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছেন অনেকে। নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি আবর্জনা অপসারণে তাদের এ সচেতনতামূলক প্রচারণাকে ভালো বলছেন তারা। তবে নির্বাচনে জয়ী হয়েও এ ধরণের কাজে মনোনিবেশ করবেন বলেও প্রত্যাশা তাদের।