২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৫

যবিপ্রবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ

  © টিডিসি ফটো

উগ্র, অসংযত ও অছাত্রসুলভ আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ এ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের স্নাতোকোত্তরের ছাত্র এস এম একরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র রাজনীতি (মিছিল, মিটিং,সভা, সমাবেশসহ সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ই ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত যবিপ্রবি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম-রিজেন্ট বোর্ডের ৫৩তম (বিশেষ ) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

সভায় অ্যান্টি-র‌্যাগিংয়ের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক ড. শরিফ এনামুল কবিরের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদন রিজেন্ট বোর্ডে গ্রহণ করা হয়। এ তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। সেইসাথে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে সম্পূর্ণভাবে র‌্যাগিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে উপাচার্যকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় এবং তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ রিজেন্ট বোর্ডকে অবহিত করার দরকার নেই বলে তাঁরা অভিমত দেন। রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ও আলোচনা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন রিজেন্ট বোর্ডকে অবহিত করেন, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হয়েছে এবং তা কার্যকরও করা হয়েছে। সভায় অছাত্রসুলভ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করার প্রমাণ পাওয়ায় ফিসারিজ এ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স(এফএমবি) বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র এস এম একরামুল কবির দ্বীপকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার, হলের অভ্যন্তরেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অবস্থান ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উত্তরপত্র মূল্যয়ণেসহ শৃঙ্খলাবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইন্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সম্রাট কুমার দে-কে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির, যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম শাহি আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রশীদ, যবিপ্রবির ফিসারিজ এ্যান্ড মারিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবির জাহিদ, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবু তালেব মিয়া, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তোরাব হাবীব, যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব প্রমুখ।