১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৯

‘ডাকসু নির্বাচনে উপাচার্যের ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে’

শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’র সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। ২০১২ সালে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের ২৫জন শিক্ষার্থীর রিটের প্রেক্ষিতে ২৮ বছর থেকে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ। আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজনীতির আতুর ঘর খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হলের সাবেক শিক্ষার্থী মুজিব মোর্শেদ, শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের মুখপাত্র নূর বাহাদুর, মওদুদ মিষ্টি, নুরে আলম দুর্জয়সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী মঞ্চের মুখপাত্র মওদুদ মিষ্টি।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা দৃষ্টিপাত করতে চাই ডাকসুর সংবিধানের দিকে। ডাকসুর বর্তমান সংবিধানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন ও অবস্থান নেয়ার ক্ষমতা কতটা দেয়া আছে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। বলা হচ্ছে- ইউনিয়নটি শিক্ষার্থীদের। অথচ এর চূড়ান্ত ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে। তিনিই সর্বেসর্বা, একনায়ক! ডাকসুর গঠনতন্ত্র উপাচার্যের বিধি-নিষেধে ভরপুর। মুক্তচিন্তা ও জ্ঞান চর্চায় প্রতিবন্ধক। ডাকসুর সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ বিশ্বাস করে, বর্তমান শিক্ষার্থীরা ডাকসুর গঠনতন্ত্র পাঠ-পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই গঠনতন্ত্র বুঝতে শিক্ষার্থীরা তাদের বিচার বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটাবেন।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে নূর বাহাদুরকে মুখপাত্র করে ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ নামের একটি পাটাতন গঠিত হয়। কাজল আব্দুল্লাহকে গবেষণা সেলের প্রধান ও আলীম হায়দারকে প্রচারণা সেলের প্রধান করে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রাত্যহিক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রচারণা, জরিপ ও আন্দোলন কর্মসূচি চালানো হয়। আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলী আসিফ শাওনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই এবারের ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।