০৩ মে ২০২৫, ০৮:২৪

সোহরাওয়ার্দীতে হেফাজতের মহাসমাবেশ শুরু, জনতার ঢল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতের নেতা কর্মীরা  © সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার (৩ মে) সকাল ৯টা থেকে এক বিশাল মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত চলমান এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ মোট চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এতে সভাপতিত্ব করছেন। 

এর আগে ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন সংগঠনটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। হেফাজতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী রাজধানীতে উপস্থিত হয়েছেন। হেফাজতের শীর্ষ নেতারা একে একে মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং চার দফা দাবি তুলে ধরছেন।

তাদের ৪ দফা দাবিগুলো হলো- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী ও কুরআন-সুন্নাহবিরোধী প্রস্তাব প্রত্যাহার ও কমিশন বিলুপ্তি, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা পুনঃস্থাপন, আওয়ামী শাসনামলে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ‘গণহত্যা’র বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতের মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ।

শুক্রবার (২ মে) এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান অভিযোগ করেন, নারী সংস্কার কমিশন পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাবে ইসলামবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

তারা বলেন, ২০১৩ সালের গণআন্দোলনে নারী সমাজ নিজ উদ্যোগে মাঠে নেমে এসেছিল; অথচ আজ তাদের কথা না শুনে একটি কমিশন গঠন করে সেটিকে নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হাতিয়ার বানানো হয়েছে। তারা বিশেষভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই কমিশন যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব এনে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবমাননা করেছে এবং সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।