২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০

তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে চার কর্মসূচি বিএনপি ও তিন সংগঠনের

যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ফের তারুণ্যের সমাবেশ দিয়ে মাঠে নামছে বিএনপির তিন অঙ্গসহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মে মাসের ৯ তারিখ চট্টগ্রাম থেকে এই তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়ে  ২৮ তারিখ রাজধানী ঢাকার মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দেশব্যাপী তারুণ্যের সমাবেশের এই কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সেই বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি, যেটি ফ্যাসিবাদের রক্তক্ষয়ী সময়ে সবচেয়ে বেশি গুম-খুন, হামলা-মামলা, ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই সংগ্রামী ধারাবাহিকতায়, সকল শ্রেণি-পেশার গণতন্ত্রকামী মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ-যেখানে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

প্রথম কর্মসূচি আগামী মে মাসের ৯ ও ১০ তারিখ। এটি অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতাকর্মীদের নিয়ে। দ্বিতীয় কর্মসূচি ১৬ ও ১৭ মে  খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নেতাকর্মীদের নিয়ে খুলনায় অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় কর্মসূচি হবে বগুড়ায়। ২৩ ও ২৪ মে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

চতুর্থ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। ২৭ ও ২৮ ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহস বিভাগ নিয়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, এসব সমাবেশ থেকে তরুণ ভোটারদের দ্রুত ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে অবিলম্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানানো হবে। সমাবেশগুলোতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে এই দাবিতে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করা হবে।

বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে। দলটির দাবি, দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিগত তিনটি নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।