শেখ হাসিনা, আ.লীগ ও বিচার নিয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারীর যে আহ্বান

শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে এবং সংশোধনের পথও উন্মুক্ত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি শান্তি ও স্থিতি। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা কেবল হাজারো তাজা প্রাণ হারাইনি, বরং আমাদের মর্যাদা এবং সম্মানও হারিয়েছি। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ বিশ্বে একটি বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। তবে এখন আমরা সাহসী, বিজয়ী ও মর্যাদাবান জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছি। বর্বর গোষ্ঠীর কোনো ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডাই আমাদের চলার পথে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।’
‘আমাদের অনেকেরই সঙ্গত নানা কারণে দুঃখ-কষ্ট ও বেদনা রয়েছে– আমার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদের কষ্ট কখনোই আবু সাইদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম কিংবা ফাইয়াজের মায়ের তুলনায় বেশি নয়। এখন সময় এসেছে আমাদের সংযম ও সহিষ্ণু আচরণ প্রদর্শনের।’
শেখ হাসিনার বিষয়ে এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতিসংঘ স্বীকৃত খুনের নির্দেশদাতা ও লুটেরা হাসিনা এবং তার সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। তবে তার পচাগলা রাজনীতির সাথে একসময় যুক্ত অনেক প্রান্তিক মানুষের কৃতকর্মের দায় শিকার করে সংশোধনের পথও উন্মুক্ত রাখতে হবে। তার মানে এই নয়, গর্ত থেকে বের করে এনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন!’
‘অসহিষ্ণু ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে, যা স্বার্থান্বেষী মহলের নজরকাড়া চিত্র তুলে ধরতে পারে।’
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের বার্তা দিয়ে মুশফিকুল ফজল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পচাগলা অবস্থা থেকে দেশটাকে বাঁচাতে দেন-দরবার করার মতো একটি সরকার আপনারাই গঠন করেছিলেন। আমাদের প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তা সমুন্নত রেখে নিজেদের গড়া সরকারের সাথেই হোক না বোঝাপড়া।’
‘পাওয়া-না পাওয়া কিংবা কোনো ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে বৈষম্যহীন একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের পক্ষেই আমার অবস্থান।’