ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাও ‘নির্বাচন সমন্বয়ক’

 মিজানুর রহমান পিকুল ও তার বহিষ্কারাদেশ
মিজানুর রহমান পিকুল ও তার বহিষ্কারাদেশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিজানুর রহমান পিকুলকে। অথচ ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে নারী লাঞ্ছনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় তাকে।

খোঁজে জানা যায়, গত বছর সাত আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পলাশী বাজারে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির গায়ে ধাক্কা লাগে ছাত্রলীগ নেতা পিকুলের। তখন রুহুল আমিনের ওপর চড়াও হয়ে তাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন পিকুল। এ সময় তার স্ত্রী ও শালিকা (ইডেন কলেজের ছাত্রী) প্রতিবাদ করায় তাদেরও মারতে উদ্যত হয় পিকুল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল থেকে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়ে এসে দুই নারীকে লাঞ্ছনা করে পিকুল।

এ ঘটনার পর রাজধানীর চকবাজার থানায় লাঞ্ছনার লিখিত অভিযোগও করেছিলেন ভুক্তভোগী দুই নারী। এরপর সংগঠনের শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে রাতেই পিকুলকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান পিকুলকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হল।’

নির্বাচন সমন্বয়কের দায়িত্ব পান পিকুল

তার বহিষ্কার আদেশ না উঠিয়ে এ নেতাকে নির্বাচন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্বাচন সমন্বয়ক নিয়ে অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ত্যাগী নেতাদের বাধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ রকম নারী লাঞ্ছনাকারীকে নির্বাচন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হলে ভোটের মাঠে খারাপ প্রভাব পড়বে। এমন না যে ছাত্রলীগের নেতার সংকট রয়েছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তা স্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান পিকুল বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ছাত্রলীগের নির্বাচন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছি। আগের কমিটির বহিষ্কার আদেশ নতুন কমিটি আসলে আর থাকে না। তাই কাজ করতে কোন সমস্যা নাই।’

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ