১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০২

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, বিকল্প সড়কে মাঠে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম নগরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে রবিবার বিকল্প পথে স্টেডিয়ামে যেতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। ফলে অনুশীলনরত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ২৫ মিনিট দেরিতে বিকল্প সড়ক হয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যেতে হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান বলেন, বেলা ১টার দিকে হোটেল রেডিসন ব্লু  চিটাগাং বে ভিউ থেকে ক্রিকেটারদের বাস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়েই এমইএস কলেজের সামনে ঝামেলা শুরু হয়। তাই ঝুঁকি এড়াতে ১টা ২৫ মিনিটে ক্রিকেটারদের বিকল্প সড়ক দিয়ে মাঠে নেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাধারণত হোটেল থেকে জাকির হোসেন সড়ক হয়ে মাঠে যায় ক্রিকেটারদের বহনকারী বাস। রবিবার এই সড়কের বদলে আমবাগান হয়ে মাঠে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিতে চট্টগ্রামে অবস্থান করা ক্রিকেটাররা।

পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিনিয়রের সামনে জুনিয়র কর্মীর সিগারেট খাওয়া নিয়ে ওমরগণি এমইএস কলেজে শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রবিবারও দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ায়। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে এক পক্ষ জিইসি মোড় এলাকায় দুটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কয়েকটি ককটেলও ফাটায় তারা।

রবিবার বেলা দেড়টার দিকে জিইসি মোড় এলাকার সাদিয়াচ কিচেন নামের একটি খাবারের দোকান এবং হোসাইন লাইটিং নামের একটি ঝাড়বাতি বিক্রির দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুরের পরপরই দোকান বন্ধ করে দেন দোকানের কর্মচারীরা। বিকেল চারটার দিকেও তাঁদের আতঙ্কিত দেখা গেছে। দুটি দোকানের সামনেই পুলিশ অবস্থান করছিল। সাদিয়াচ কিচেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।

সিগারেট খাওয়া নিয়ে কলেজের ছাত্রলীগের সিনিয়র ও জুনিয়র নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘটনাস্থলে থাকা খুলশী থানার উপপরিদর্শক নুর উদ্দিন। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসির উদ্দিন  বলেন, পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা দুটি দোকান ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা করছি।’