নির্বাচনে সংঘাত সৃষ্টি করে শিক্ষাকার্যক্রমে ব্যাঘাত করবেন না
জাতীয় নির্বাচন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি সরকার গঠন প্রক্রিয়া; যার মাধ্যমে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটে। যারা নির্বাচিত হয় তারা জনগণের কল্যাণেই কাজ করে। কিন্তু আমাদের দেশে যখনই নির্বাচনের সময় হয় তখনই দেশে এক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শুক্রবার ইসলামী শাসনতন্ত্র (ইশা) ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিনিধি সম্মেলন ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়।এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন লাইভ কনফারেন্সে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে পরীক্ষার শিডিউল বিনষ্ট হয়েছে। ধারাবাহিক পাঠদানেও ব্যাঘাত ঘটেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনি। বরং তাদের মধ্যে ভয় কাজ করেছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন কোনো প্রকার সহিংসতা শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে সে ব্যাপারে রাজনীতিবিদদের খেয়াল রাখতে হবে। পারস্পরিক মতবিরোধগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’
এ সময় তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসন্ন আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সকল কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র আন্দোলন ব্যর্থ হলে আন্দোলন ব্যর্থ হবে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সকল পর্যায়ে সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের ইসলামী আন্দোলনের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক গাজী উসমান গনী। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলাম।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল করীম আকরাম, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর প্রমুখ।