শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর বিপুল সম্পদ জব্দ, পুরানো গুজব নতুন করে প্রচার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির স্বামীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুরানো একটি গুজব নতুন করে প্রচার করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, “শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির স্বামী তৌফিক নওয়াজের ২৬৬.৭০ মিলিয়ন দিনারের (প্রায় বাংলাদেশী ৫৪১ কোটি টাকার সমপরিমান) সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে আরব আমিরাতের আদালত।”
বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার (৫মে) ফেসবুকে শামসুল আলম নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়। ওই স্ট্যাটাসে ডা. দীপু মনির ও তার স্বামীর একটি ছবিও দেওয়া হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার এই স্ট্যাটাসটি ১৫৩ বার শেয়ার করা হয়েছে।
মূল স্ট্যাটাসটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
স্ট্যাটাসটির সত্যতা যাচাইয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে ইনবক্সে শামসুল আলমকে মেসেজ করা হলেও তিনি কোন রিপ্লেই দেননি। নিজের আইডির বায়োতে তিনি একজন কূটনৈতিক, গবেষক, বিশ্লেষক, লেখক ও স্যোসাল এক্টিভিস্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী থাকতে বিএনপির আমলে বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন শামসুল আলম।
একই ঘটনায় গত বছরের ২৬ আগস্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেছিলেন চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “শিক্ষামন্ত্রীর নামে মিলি সুলতানা এবং জাইমা রহমান নামের দুটি আইডি থেকে মিথ্যা ও বনোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই ধরনের কাজ একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে দীপু মনির মতো সৎ এবং যোগ্য রাজনীতিকের নামে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।”
জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বসবাসরত মিলি সুলতানা এবং জাইমা রহমান নামের আইডি থেকে ফেসবুক পেজে লেখা হয় ‘দীপু মনির স্বামী অ্যাডভোকেট তৌফিক নেওয়াজের মোট ২৫৬.৭ মিলিয়ন আমিরাত মুদ্রার (প্রায় ৫৪১ কোটি টাকা) অবৈধ সম্পদ জব্দ করেছে আরব আমিরাত সরকার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দু’টি তিন তারকা হোটেল, তিনটি অত্যাধুনিক বাড়ি, একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, ছয়টি ফ্ল্যাট ও একটি রেস্টুরেন্ট। যেসব ফ্ল্যাট ও বাড়িতে ভাড়াটিয়া রয়েছে তাদের এক মাসের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।’ পরবর্তীতে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ফেসবুকজুড়ে। এর প্রেক্ষিতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিউজ
শিক্ষামন্ত্রীর নামে ফেসবুকে অপপ্রচার, কলেজ অধ্যক্ষের জিডি
আমিরাতে শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর বিপুল সম্পদ জব্দ নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ, থানায় জিডি
শিক্ষামন্ত্রীর নামে অপপ্রচার, চাঁদপুরে জিডি