নিয়মিত যে ৫ খাবারে ২ মাসেই নির্মূল হবে ফ্যাটি লিভার
আধুনিক জীবনযাপনের অনিয়ম, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতা ডেকে আনছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। ১৫ থেকে ২৫, ২০ থেকে ৪০ কোনও বয়সের মানুষই বাদ নেই। লিভারে ফ্যাট জমলে এ সব কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই অঙ্গের খেয়াল না রাখলে বিপদ।
চিকিৎসকদের মতে, এটি প্রাথমিক অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে। বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে মাত্র দুই মাসেই লিভারের ফ্যাট অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন পাঁচটি খাবার ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে-
গ্রিন টি
গ্রিন টিয়ের মধ্যে ক্যাটেচিন রয়েছে, যা লিভারের ফ্যাট তাড়াতে সহায়ক। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকুলার সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সারিয়ে তুলতে গ্রিন টি দারুণ কাজ দেয়। দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি খেলেই লিভারের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
ওটস
ওটসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি শোষণ করে বের করে দিতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় নিয়মিত ওটস খেলে লিভারের ফ্যাট কমে এবং হজমশক্তিও উন্নত হয়।
হলুদ
ফ্যাটি লিভার সারিয়ে তুলতে হলুদ দারুণ কার্যকর। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের শক্তিশালী যৌগ রয়েছে। এটি শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হিসেবে কাজ করে। হলুদ লিভার সহ একাধিক অঙ্গের যত্ন নেয়। রোজের খাদ্যতালিকায় হলুদ রেখে লিভারের সমস্যা এড়াতে পারবেন।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, লালশাক, লেটুস বা কপি জাতীয় সবুজ শাকসবজি লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা লিভারের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
রসুন
শীতকালে শরীর গরম রাখতে এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে রসুন। রসুনে সালফার সমৃদ্ধ যৌগ রয়েছে, যা শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি লিভারের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে রসুন। তাই নিয়মিত রসুন খেলেও ফ্যাটি লিভারের বাড়বাড়ন্ত থেকে মুক্তি পাবেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, শুধু খাবার নয়—নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চিনি-তেল-অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাও ফ্যাটি লিভার নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সচেতন খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ জীবনধারা গড়ে তুললেই ফ্যাটি লিভারকে বিদায় জানানো সম্ভব।