নগ্ন ফটোশুটে ক্যামব্রিজের পড়ুয়ারা, বিক্রি হবে ক্যালেন্ডারে ছেপে

নগ্ন ফটোশুট
নগ্ন ফটোশুট  © সংগৃহীত

মাত্র ১৫ মিনিটের ফটোশুট। তবে সেই ১৫ মিনিটই তথাকথিত বিশুদ্ধবাদীদের চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট। কারণ, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের জন্য এই ফটোশুটে নগ্ন হয়ে ছবি তুলেছেন একঝাঁক পড়ুয়া।

তাদের কারও যৌনাঙ্গ রয়েছে টেনিস বলের আড়াল। কারও স্তনযুগল ঢাকা হয়েছে ফুটবল দিয়ে। চলতি মাসের শেষে এই ক্যালেন্ডার বিক্রির অর্থ দান করা হবে ঘরহারা, ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোর-কিশোরী, পরিবেশ বা মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজ করা সংস্থায়।

এই ফটোশুটে দেখা গেছে, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি দলের ৭৮ জন পড়ুয়াকে। তাদের কেউ অ্যাথলিট, কেউ বা জিমন্যাস্ট। রয়েছেন রাগবি কিংবা নেটবল খেলোয়াড়রাও। ফটোশুটের জন্য কোনও স্টুডিওকে বেছে নেওয়া হয়নি। বরং ক্যামব্রিজ শহর জুড়ে প্রকাশ্যেই ফটোশুট করা হয়েছে। ছবি তোলা হয়েছে গ্র্যান্ডচেস্টার মিডোস-এ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওলজি মিউজিয়ামের মতো বিশ্বখ্যাত ভবনের সামনেও।

ক্যালেন্ডারের ছবিতে নগ্ন হলেও সকলকেই বেশ সাবলীল ভঙ্গিতে দেখা গেছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আর্থ সায়েন্স মিউজিয়ামের সামনে নগ্ন হয়ে ‘পোজ’-এ পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়রা। অন্য একটি ছবিতে হাতের উপর ভর দিয়ে উল্টো হয়ে দাঁড়িয়েছেন মহিলা-পুরুষ একাধিক জিমন্যাস্ট। কেউ বা আবার পুরুষ সতীর্থদের কাঁধের উপর চড়ে বসেছেন। অনেকে দু’পা ছাড়িয়ে দিয়েছেন সবুজ ঘাসের উপরে।

পুরোপুরি নগ্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে ফটোশুটের কাজটা যে সহজ ছিল না, তা জানিয়েছেন এই ক্যালেন্ডারের ছবি তোলার দায়িত্বে থাকা অ্যান্ড্রিউ উইলকিনসন। ফটোশুটের সময় নগ্ন খেলোয়াড়দের দেখে পথচলতি অনেকেরই মুখ লাল হয়েছে।

অ্যান্ড্রিউ বলেন, ফটোশুট নিয়ে আমরা কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। নগ্ন হলেও তা যাতে শালীনতার সীমা লঙ্ঘন না করে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়েছে।

এই ফটোশুটের সময় কৌতূহলী পথচারীদেরও ‘সহ্য’ করতে হয়েছে। অ্যান্ড্রিউর কথায়, ছবি তোলার সময় তা দেখতে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন অনেকে। কেউ আবার কোথায় তাকাবেন, তা বুঝে উঠতে পাচ্ছিলেন না!

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


সর্বশেষ সংবাদ