০১ জুলাই ২০২২, ২০:২৩

‘সত্যিই ভালো হয়ে গেছি, লাভ ইজ পাওয়ার’

সিফাত উল্লাহ   © টিডিসি ফটো

‘আমি প্রেম সম্রাট। আমি তোদের মত শ্রমিক না, আমি হলিউডে অভিনয় করি, ইউরোপের অনেক দেশে অভিনয় করি, ঐশ্বরিয়া রাই আমাকে বুকে জড়ে চুমু খেয়েছে’ এমন সব ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত সিফাত উল্লাহ উরফে সিফুদা জানিয়েছেন, ‘সত্যিই ভালো হয়ে গেছি।’

শুক্রবার (১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি। এছাড়া দেশব্যাপী আলোচিত বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। 

ফেসবুকের সেই ভিডিওতে সিফাত উল্লাহ বলেন, ‘হযরত মাওলানা ক্বারি সিফাত উল্লাহ চাঁদপুরী, আপনাদের সবাইকে ইসলাম ধর্মের সুশীতল ছায়াতলে সমবেত হওয়ার জন্য। আসসুলামুলাইকুম ওবারাকাটুহু, আওইজিবিল্লাহির শায়তনির রাহিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। (কুরআন তেলাওয়াত……)।

তিনি আরও বলেন, হাজেরানে মজলিশ, আজ আপনারদের উদ্দেশ্যে দুটো হাদিস শরীফ পাঠ করে শুনালাম। আপনারা অনেকে মনে করেছেন আমি পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করে শুনাচ্ছি। না পুরোপুরি কুরআন শরীফ থেকে নয়, প্রথম দুটি সূরা। আওইজিবিল্লাহির শায়তনির রাহিম, হে মহান রবিউল আলামিন আপনি আমাদেরকে শয়তানের হাত রক্ষা করুন। আর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর অর্থ হলো আমি মহান আল্লাহর নামে যাত্রা শুরু করলাম মানে শুরু করলাম। এই দুটো আয়াত বা সূরা পবিত্র কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছে।’

ঘুষের প্রসঙ্গ টেনে সিফাত উল্লাহ বলেন, আর আমি যে পড়লাম, ইন্নালাল আলাহাজা……….মাউদ দারান। এর অর্থ হলো হজ পাপ রাশি ধুয়ে ফেলে যেমন করে ময়লা, যেমন করে পানি ময়লা ধুয়ে ফেলে। হজ পাপ-রাশি ধুয়ে ফেলে, যেমন করে পানি ময়লা ধুয়ে ফেলে। কাজেই যাদের সামর্থ্য থাকবে, তারা দয়া করে হজব্রত পালন করবেন। মহান আল্লাহ, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সবাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দাখিল করুন এবং যারা হজ করতে পারেননি, তাদেরকে কুললুম মুসলিম জাহানের মধ্যে এবং যারা মুসলমান হননি, তারা পবিত্র কালেমা পড়ে (কালেমা) এবং কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করে আপনারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন। আরেকটি হাদিস আমি পড়েছি, …….(আরবিতে কিছু বলেন)। যিনি ঘুষ খান এবং যিনি ঘুষ দেন, তাদেরকে হাদিস শরীফে উদকুস বলা হয়েছে মানে ঘুষ। যারা ঘুষ দেন এবং যারা ঘুষ দেন উভয়ই সমান অপরাধী, সমান দোষী এবং তারা দুজনেই জাহান্নামে যাবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনি মনে করছেন ওই যে সচিব সাহেব ঘুষ খেয়ে আপনার ফাইলে সই করে দিচ্ছেন, আপনি এক কোটি টাকা মুনাফা করেছেন, কন্ডাক্টরি করে। রডের পরিবর্তে বাঁশ ঢুকাইয়া। তাই না, বিভিন্নভাবে আপনারা করেন। একটা বালিশের দাম খানি সাত লাখ টাকা। ছি! ছি! ছি! স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ড্রাইভারের নাকি কত’শ কোটি টাকা আছে, ১০০/২০০ অ্যাপায়র্টমেন্ট আছে। এমন অসম্ভবভাবে আপনারা আয় করেন। এটা অন্যায়, অপরাধ। আপনি হারাম খান। তাইলে আপনারা কেউ ঘুষ দেবেন না। ঘুষ দেওয়াও অপরাধ, ঘুষ খাওয়াও অপরাধ। বিপদে ফেলে, আমি জানি আমি অনেক সচিবদেরকেও ট্রেনিং দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও ট্রেনিং দিয়েছি। একজন ট্রেইনার হিসেবে আইএলও’তে চাকরি করেছি। ব্যাংকিং-এর উপরে লেখাপড়া করেছি। তারপরে ট্রেনিং দিয়েছি। একজন ট্রেইনার, ট্রেইনারস ট্রেইনার, টিচার অফ টিচার। নিজের যোগ্যতা বলে সেই স্থান অর্জন করেছিলাম। এখনো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, বড় বড় একাডেমীতে ট্রেনিং দেই।

নিজ ও পরিবারের প্রসঙ্গে তিনি জানান, আপনারা আমাকেও অসম্মান করেন, আমাকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করেন। না বুঝে আমার কথা, অনেকে আমাকে বলে আমি নাকি নাস্তিক। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, বানোয়াট কথা। আমি একজন খাঁটি সুন্নি মুসলিম। আমার জন্ম হয়েছে অত্যন্ত সম্ভাব্য মুসলিম পরিবারে এবং আমি ছোটবেলায় ক্বারি সাহেবের কাছে কুরআন তেলাওয়াত শিখেছি। কায়দা, আলিফ লাফ, আমপারা এইগুলো সব শিখেছি ক্বারি সাহেবের কাছে, মাওলানা ক্বারি সিফাত উল্লাহ চাঁদপুরী, আপনাদের সবাইকে ইসলাম ধর্মের সুশীতল ছায়াতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান করে আপনাদের থেকে বিদায় নিচ্ছি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। লাভ ইন পাওয়ার।