২৩ জুন ২০২২, ১৩:১১

শুভ জন্মদিন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী  © সংগৃহীত

লেখক, গবেষক, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৭তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন)। জাতির অন্যতম বাতিঘর তিনি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনের পুরোধা তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে তাঁর আত্মজৈবনিক বক্তৃতার আয়োজন করেছে ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন বিক্রমপুরের বাড়ৈখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা, ঢাকা ও যুক্তরাজ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন এ অধ্যাপক যুক্তরাজ্যের লিডস ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং লেজিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি মাসিক পরিক্রমা (১৯৬০-৬২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (১৯৭২), ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র (১৯৮৪) ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। অবসরের পর থেকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’ সম্পাদনা করছেন। প্রবন্ধ, অনুবাদ ও কথাসাহিত্য মিলিয়ে তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১১০।

কালের সাক্ষী, নেতা জনতা ও রাজনীতি, পুঁজিবাদেও দুঃশাসন, গণতন্ত্রেণর অমসৃণ পথ, রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের মতোই, সময় বহিয়া যায়, বিচ্ছিন্নতায় অসম্মতি, কুমুর বন্ধন, শরৎচন্দ্র ও সামন্তবাদ, বঙ্কিমচন্দ্রের জমিদার ও কৃষক, নজরুল ইসলামের সাহিত্যজীবন, শেকসপিয়রের মেয়েরা, ধ্রুপদী নায়িকাদের কয়েকজন, ইংরেজি সাহিত্যে ন্যায়-অন্যায়, বাঙালীর জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি, হোমারের অডিসি, এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব, ইবসেনের বুনোহাঁস, হাউসম্যানের কাব্যের স্বভাব অম্বেষণ, দ্বিতীয় ভুবন, নিরাশ্রয় গৃহী, আরণ্যক দৃশ্যাবলী, অনতিক্রান্ত বৃত্ত ইত্যাদি তার রচনা। 

তাঁর বইতে উঠে এসেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শনে অবিচল চিন্তা, সমাজ বিপ্লবে তরুণদের ভূমিকা। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে গভীর দার্শনিকতা ও ইতিহাস চেতনা। সামাজিক সংকট ও সামাজিক মুক্তিতে সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজনীয়তা।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন নানা কাজের স্বীকৃতিও। লেখক সংঘ পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও আবদুর রহমান চৌধুরী পদক পেয়েছেন তিনি।