সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া কে এই আমির হামজা
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ
সাহিত্যক্ষেত্রে এবার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মরহুম মো. আমির হামজাকে। কে এই আমির হামজার? তার পরিচয় ও সাহিত্যকর্ম কী? এ নিয়ে দেখা দিয়েছে কৌতুহল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। সমালোচকদের মতে, বাংলাদেশে কি স্বাধীনতা পদক পাওয়ার মতো লেখকের এতই অভাব যে এরকম একজনকে এই পদক দিতে হবে?
এদিকে, গুগল এবং উইকিপিডিয়ায় সাহিত্যিক হিসেবে মো. আমির হামজা নামের কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। দেশের কবি-সাহিত্যিকদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আমির হামজা সম্পর্কে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা গণমাধ্যমকে জানান, এই নামে কোনো সাহিত্যিকের নাম শুনেননি তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মো. আমির হামজাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আমির হামজার পরিচয়ে তার ঠিকানা মাগুরার শ্রীপুর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম হিসেবে তিনটি বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো–‘বাঘের থাবা’ (২০১৮), ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ (২০২০) ও ‘একুশের পাঁচালি’(২০২১)।
লেখক ও প্রকাশ মাসুদুজ্জামান ফেসবুকে লিখেন, আমির হামজা নামে সাহিত্যের ক্ষেত্রে অপরিচিত কোনো এক অজ্ঞাত কুলশীল ব্যক্তি নাকি সাহিত্যে স্বাধীনতা পদক (পুরস্কার) পাচ্ছেন। কস্মিনকালেও লেখক হিসেবে তার নাম শুনি নাই। কোনো লেখাও চোখে পড়ে নাই। বাংলাদেশে কি স্বাধীনতা পদক পাওয়ার মতো লেখকের এতই অভাব যে এরকম একজনকে এই পদক দিতে হবে? তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এই সিদ্ধান্তের।
রুদ্র সাইফুল নামে আরেকজন লেখক ও প্রকাশক লিখেন, এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে মো. আমির হামজা নামের একজনকে, আমি আজ পর্যন্ত তার নাম শুনিনি, এটা নিশ্চয়ই আমার অজ্ঞতা; আপনারা কেউ শুনেছেন বা পড়েছেন তার কোনও লেখা?