জনপ্রিয় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চলে যাওয়ার ৯ বছর

হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদ  © সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে ভুগে ২০১২ সালের এই দিনে (১৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে কিংবদন্তী এই কথাসাহিত্যিক মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশপল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সীমিত আকারে পরিবার ও ভক্তরা দিনটিকে স্মরণ করবে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে, দেশজুড়ে। 

জানা গেছে, সীমিত আকারে দোয়ার আয়োজন থাকছে হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নেত্রকোনা এবং লেখকের সবচেয়ে প্রিয় স্থান গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে। টিভি চ্যানেলগুলোতেও থাকছে তার নাটক, চলচ্চিত্র, গান ও সাহিত্য নিয়ে দিনভর বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

শিল্প-সাহিত্যের বেশিরভাগ শাখায় কীর্তি রেখে গেছেন হ‌ুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ তাকে এনে দেয় পরিচিতি। এরপর লিখেছেন তিন শতাধিক গ্রন্থ। যার প্রায় সবই সাড়া ফেলেছে দেশ-বিদেশের পাঠক মহলে।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন হ‌ুমায়ূন আহমেদ।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মেছিলেন হ‌ুমায়ূন আহমেদ। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন। হ‌ুমায়ূনের মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। তার দুই ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব।