০৮ মে ২০২১, ১১:০৮

রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার নিয়ে অজানা কিছু তথ্য

আজ কবিগুরুর জন্মদিন   © সংগৃহীত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যচেতনা থেকে জীবনদর্শন বহু যুগ ধরে বাঙালির জীবনকে প্রভাবিত করে আসছে। কার্যত এমন কিছু বাঙালির জীবনে নেই, যা রবি ঠাকুরের সাহিত্য দিয়ে প্রকাশ করা যায় না! তাঁর বহু গুণমুগ্ধই বলে থাকেন, এক বিশাল মহীরুহ বিশ্বকবি।

যে গাছের ডালপালা মূল কাণ্ড থেকে যতই বিস্তৃত হয়েছে ততই ছায়া দিয়েছে মানব চেতনাকে। সাহিত্যের স্নিগ্ধ ছায়ায় সমৃদ্ধ করেছে বাঙালির সংস্কৃতিকে। এমন এক বটবৃক্ষের নিচে থেকেও বিশ্বকবি সম্পর্কে বহু তথ্য, আলোচনা, কথা, কাহিনী অজানার দেশে পড়ে থাকে! এমনই কিছু তথ্য একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

নোবেল ও ‘গীতাঞ্জলি’

১৯১৩ সালে বিশ্বকবিকে বন্দিত করে নোবল তুলে দেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখা ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের (ইংরেজি সংস্করণ) জন্য এই অনন্য সম্মানে ভূষিত হন। মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত এই বই বিশ্বের দিকে দিকে প্রশংসিত হয়েছে।

নোবেল প্রাপক হিসাবে কোন অনন্য খ্যাতির অধিকারী তিনি?

১৯১৩ সালে যখন রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান, তখন তিনিই ভারতের প্রথম নোবল প্রাপকের সম্মানে ভূষিত হন। শুধু তাই নয়, কোনও অ-ইউরোপীয় হিসাবেও তিনিই প্রথম নোবেল প্রাপক। এমনই এক অনন্য সম্মানের অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে খ্যাতির শিখরও তাঁকে সাহিত্যচর্চার নিপুণতা থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি।

নোবেল চুরি

বিশ্বভারতীর নিরাপদ ভল্টে রবীন্দ্রনাথের প্রাপ্ত নোবেল (আসল রেপ্লিকা) রাখা ছিল। তবে ২০০৪ সালে তা সেখান থেকে চুরি হয়। পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বহু তদন্ত করেও তার কিনারা করা যায়নি। রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে বাঙালির দর্পের অধ্যায় ‘নোবেল’ এর আসল রেপ্লিকা কার্যত একটি রহস্য হয়ে থেকে গেল।

ত্যাগ করেছেন ‘নাইট’

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় গোটা দেশ যখন ব্রিটিশ বিরোধী আগুনে ফুটছে, তখন পাঞ্জাবের জালিওয়ালানাবাগে ঘটে গেল নারকীয় হত্যাকাণ্ড। সেই সময় ১৯১৫ সালে ইংল্যান্ডে জর্জ পঞ্চমের রাজত্বকালে সেখানের প্রশাসন কবিগুরুকে 'নাইট' উপাধিতে ভূষিত করার ঘোষণা করে। সেই উপাধি প্রত্যাখ্যান করে রবীন্দ্রনাথ জালিওয়ালানাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খাদ্যাভ্যাস : ‘কাবাব নোসি’ থেকে নিমের সরবত! বিশ্বকবির প্রিয় খাবারের তালিকা একনজরে

কোথায় কোথায় রয়েছে রবীন্দ্র মিউজিয়াম?

ভারতে রবীন্দ্র মিউজিয়াম রয়েছে ৩টি। আর বাংলাদেশে রয়েছে ৫টি। ফলে মোট ৮টি বিখ্যাত রবীন্দ্র মিউজিয়াম রয়েছে দুই বাংলা জুড়ে। এরমধ্যে শান্তিনিকেতনের ‘রবীন্দ্রভবন’, রবীন্দ্রভারতীর অধীনে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি, কালিম্পংয়ে মংপুতে মিউজিয়াম রয়েছে।