শিক্ষক নয়, সারাজীবন শিক্ষার্থী হয়ে থাকতে চান জয়া

জয়া আহসান
জয়া আহসান  © ফাইল ছবি

জয়া আহসান বা জয়া মাসউদ হলেন একজন বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পূর্বসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।

জয়া আহসান জন্মগ্রহণ করেন গোপালগঞ্জ জেলায়। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তারা দুই বোন এক ভাই। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন। তিনি একটি সংগীত স্কুলও পরিচালনা করেন। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষৎকারে জয়া নিজের একটি ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

বসুশ্রী সিনেমায় ‘আর্টহাউজ এশিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগ দিয়ে জয়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার কাজের কারণেই এ সময়টাতে কলকাতায় থাকা। ফেসবুকের মাধ্যমে এখানের আর্টহাউজ এশিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে জেনেছি। শুনেছি, এখানে খুব ভালো ভালো ছবি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি আমার কাজের কারণে কিছু ছবি মিস করেছি।

তিনি বলেন, তবে হঠাৎ-ই এ ফেস্টিভ্যালে চলে আসলাম। এখানে অনেক গুণীজন আছেন। তাদেরকে তো মিস করা যায় না। আমি আশা করছি, এখানে আসলে আমি দেখার পাশাপাশি নতুন কিছু শিখতেও পারবো। কারণ আমি সারাজীবন স্টুডেন্ট হয়ে থাকতে চাই; কখনও শিক্ষক হতে চাই না।

জয়া বলেন, সে জায়গা থেকে মনে হলো শ্রোতা হিসাবে এ ফেস্টিভ্যালের আসা গুণীজনদের কাছ থেকে শুনতে চেয়েছি। এখান থেকে নিজেকেও মেরামত করে নিলাম। সবমিলিয়ে এখানে একটা দারুণ সেশন হলো। এখানে যারা প্রতিযোগি ছিলেন তারা সকলে কিছু প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করেছেন। এটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। আমিও আবার নতুন করে শিখলাম, দেখলাম। এখানে এসে আক্ষরিক অর্থেই নতুন কিছু শিখেছি।

জয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। পরে দীর্ঘ ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ডুবসাঁতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ফিরে এসো বেহুলা এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

গেরিলায় বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৩ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ