মওলানা ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী আজ
আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ ১৪০তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সয়া-ধানগড়া গ্রামে তার জন্ম। তার বাবার নাম হাজী শরাফত আলী খাঁ ও মায়ের নাম মজিরন বিবি। তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।
স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্র্রষ্টা ছিলেন মওলানা ভাসানী। তিনি এ দেশের মানুষের শিক্ষা বিস্তার ও প্রসারে অনেক অবদান রাখেন। রাজনীতির আলোকবর্তিকা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দেন। গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।
উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলন, পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের পতন নিশ্চিত করা, ৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনের মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উজ্জীবিত করা, ৬৯-এর গণ-আন্দোলন, ৭০-এর স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭১-এর মহান মুক্তিসংগ্রামের প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা ছিলেন ভাসানী। তার নামে সন্তোষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মহীপুরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজ, ঢাকায় আবুজর গিফারি কলেজ ও টাঙ্গাইলে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
কর্মসূচি: ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার ১১টায় নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। দলের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাতীয় রাজনৈতিক ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
একই সাথে দলের সব মহানগর, জেলা ও শাখা কমিটি স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র্র মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনসহ চারটি সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।