মান্না দে’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মানা থেকে পরিচিত হন মান্না নামে, পারদর্শী ছিলেন কুস্তি ও বক্সিংয়েও

মান্না দে
মান্না দে  © সংগৃহীত

উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আজকের এই দিনে তার মৃত্যু হয়। তিনি একাধারে হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অনেক ভাষায় ষাট বছরেরও বেশি সময় গান করেছেন। তাকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ১৯১৯ সালের ১ মে জন্ম গ্রহণ করেন।

আধুনিক বাংলা গানের জগতে শ্রোতাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় নাম মান্না দে। সঙ্গীতজগতে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ভারত সরকার তাকে ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ ও ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা দেয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করে তাকে।

মান্না দে’র মূল নাম হচ্ছে প্রবোধ চন্দ্র দে। তার ডাক নাম মানা থেকে তিনি হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় মান্না। পরবর্তী জীবনে গান গেয়ে বিখ্যাত হলেও খেলাধূলাতেও বেশ আগ্রহী ছিলেন তিনি। যৌবনে কুস্তি ও বক্সিংয়ে পারদর্শী ছিলেন মান্না দে। খেলতেন ফুটবলও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে সংগীত জগতে আসবেন না আইনজীবী হবেন তা নিয়েও দ্বিধায় ছিলেন। তবে তার কাকা কৃষ্ণচন্দ্র চাইতেন ভাইপো গান করুক। তার ইচ্ছেতেই গানের জগতে আসা মান্না দে’র। প্রথমে কৃষ্ণচন্দ্রর কাছে গানের তালিম নিলেও পরে একাধিকজনের কাছে তিনি তালিম নেন। উস্তাদ আমান আলি খান ও উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের নিকট থেকে হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন।

রামরাজ্য সিনেমায় কোরাস শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মান্না দে। বাংলা ও হিন্দির পাশাপাশি মৈথিলি, পঞ্জাবি, গুজরাতি, মারাঠি, কন্নড় ও মালায়ালম ভাষাতেও গান করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গীত জীবনে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি।

২০১৩ সালের ৮ জুন ফুসফুসের জটিলতায় ব্যাঙ্গালোরে একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন মান্না দে। পরে ৯ জুন তার মৃত্যুর গুজব রটে। তবে ডাক্তাররা নিশ্চিত করেন, তিনি বেঁচে আছেন। তবে তার অবস্থার বেশ অবনতি হয় এবং নতুন জটিলতা দেখা দেয়। পরে তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর ব্যাঙ্গালোরে মৃত্যুবরণ করেন মান্না দে।


সর্বশেষ সংবাদ