সমস্যা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে গেল: মনজুরুল ইসলাম

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম   © ফাইল ফটো

মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিবেচনায় এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়ার নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এতদিন ঝুলিয়ে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আগেই নেয়া যেত বলে মনে করছেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এতে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকে কেন্দ্র করে নতুন করে যেসব সমস্যা তৈরি হবে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করার সময় পাওয়া যেত। এখন আগামী জানুয়ারিতে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হবে- সেটি তো বুঝতে পারছি না। আসলে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমস্যা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে গেল।

এই শিক্ষাবিদ বলেন, দুই থেকে তিন মাইল দূরের পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে যেতে না পারে তাহলে ৩০০ মাইল দূরে ঢাকায় কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসবে, সে চিন্তা কিন্তু থেকেই যায়। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করেছে তাদের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটি আসলে কী করবে আমি জানি না। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিসহ বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তিতে এইচএসসি পরীক্ষা বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তারাও এবার কীভাবে বিষয়টি সমন্বয় করবে, তাও বোঝা যাচ্ছে না।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আরও বলেন, জেএসসি ও এসএসসির সমন্বয়ে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে ভর্তিতে কখনো মূল্যায়নে নেয় না। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই জেএসসি পরীক্ষা কেবল দিতে হবে বলে দেয়। আর এটাতো বাচ্চাদের জন্য খুবই ‘আরলি এক্সাম’। এই পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসি ফলাফল নির্ধারণ তাও চিন্তার বিষয়।

তিনি বলেন, শীতে করোনার প্রকোপ বাড়বে বলে বলা হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ও শীতে। এটা নিয়েও চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

তবে এই সিদ্ধান্তের সুফল বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এইচএসসির ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবে বলেও মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। তিনি এই সিদ্ধান্তের বাইরে দুই তিন ধাপে পরীক্ষা নেয়ার বিকল্প চিন্তার কথাও জানান।

এর আগে গতকাল দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে পরীক্ষার্থীদের বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এইচএসসির রেজাল্ট দেয়া হবে বলে জানান।


সর্বশেষ সংবাদ