এক নজরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বর্ণাঢ্য জীবনী
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি এবং ১৯৬৯ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে এমএ পাস করেন। ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
মাহবুবে আলম আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করার পর ১৯৭৩ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবি তালিকাভুক্তি হন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্ট বিভাগে অনুশীলন শুরু করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান এবং সংসদীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতিতে দুটি ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৮ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন এর আগে ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।