সরিয়ে নেয়া হল আল্লামা শফীর স্মৃতিচিহ্ন
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দীর্ঘ দিনের প্রিয় কর্মস্থল চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা (হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত)। এখানে ৪০ বছর শিক্ষকতা ও ৩৪ বছর ওই মহাপরিচালকের পদে আসীন ছিলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির ইট-পাথরের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে তাঁর। মাদ্রাসার অনেক জায়গার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো। যা হয়ে থাকবে ইতিহাসের সাক্ষী।
আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আল্লামা শফীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাঙ্গুনিয়ার শরফভাটা ইউনিয়নের পাখিয়ার টিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ তার প্রয়াত পিতার ব্যবহৃত বইপত্র (কিতাব), আসবাবপত্রসহ নানা সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছেন। দুপুরে জোহরের নামাজের পর এসব সরঞ্জাম মিনি ট্রাক যোগে বাসায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, উনার ব্যবহারিত এসব জিনিস আমাদের কাছে শেষ স্মৃতি। এসব স্মৃতি নিয়ে আমরা তার আদর্শ ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই।
এদিকে, মাদ্রাসা থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর এসব স্মৃতিচিহ্নগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি সারাদিন বেশ আলোচিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ইশতিয়াক সিদ্দিকি তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, দেওবন্দসহ বিভিন্ন জামিয়াতে আকাবিরদের স্মৃতিচিহ্ন সম্বলিত এক রুম আছে। যেখানে তাদের রচিত কিতাবাদি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হয়। দেশি-বিদেশি পরিদর্শকরা এতে উপকৃত হয়, প্রভাবিত হয়। দারুল উলুম হাটহাজারীতেও এমন একটি রুম তৈরি করলে সেটা অন্যান্য মাদরাসার জন্যও অনুসরণীয় হবে।
শাইখুল ইসলাম রহ. এর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার জন্য। আজ তার আসবাবপত্র ও স্মৃতিচিহ্নগুলো পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখে খুব কষ্ট লাগছে। কর্তৃপক্ষ ও পরিবার চাইলে এমন একটি উদ্যোগের সূচনা হতে পারে।