অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের করা মানহানির মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালত এ বিষয়ে রিভিশন আবেদন করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক। পরে তিনি জানান, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইটি প্রকাশ করা হয়। এ বইয়ের লেখক মো. আবু বকর সিদ্দিকীর ‘মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর: একটি সমীক্ষা’ শিরোনামের প্রবন্ধে শান্তি কমিটির সদস্যদের নামের তালিকায় ৩৬ নম্বর ক্রমিকে উঠে আসে মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবা ‘মৃত মোসলেম বাওয়ালী’র নাম।
এ বিষয়ে জানতে ২০১৮ সালের ১ জুলাই বইটির সম্পাদক মুনতাসীর মামুনের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান মন্নুজান সুফিয়ান। পরে নোটিশের জবাব দেন মুনতাসীর মামুন।
একই বছরের ১৯ জুলাই ফের মুনতাসীর মামুনকে উকিল নোটিশ পাঠান মন্নুজান সুফিয়ান। নোটিশে এ তথ্য প্রকাশের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয় এবং লেখক আবুবকর সিদ্দিকীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু মুনতাসীর মামুন এ বিষয়ে রাজি হননি।
পরে প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
একই বছরের ২২ জুলাই তামাদি আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে মামলাটি বাতিল চেয়ে জজ আদালতে আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন। কিন্তু চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত।
এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্টে রিভিশন করেন মুনতাসীর মামুন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি বাতিল চেয়ে বিচারিক আদালতে মুনতাসির মামুনের আবেদন খারিজ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী রাশেদুল হক।