শিক্ষামন্ত্রীর বাবা এম এ ওয়াদুদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ শুক্রবার (২৮ আগস্ট) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বাবা ও ভাষাসংগ্রামী এম এ ওয়াদুদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এম এ ওয়াদুদ ১৯২৫ সালের ১ আগস্ট চাঁদপুরের রাঢ়ির চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াদুদ গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮), পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (১৯৪৮) ও কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার (১৯৫৬) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯), সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯) ও দৈনিক ইত্তেফাকের (১৯৫৩) প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন।
তিনি ১৯৫৩-৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দু’বার নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একবার প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার বরখাস্ত করার পর ছাত্র আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য পুনরায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তৎকালীন শাসকদের রোষের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করতে বাধ্য হন তিনি। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুসহ তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়।
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর থেকে ১৯৮৩ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুবরণের আগ পর্যন্ত বাঙালির ভাষা, স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সব আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এম এ ওয়াদুদ। ১৯৭৮ সালে জিয়ার সামরিক সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রিত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য তিনবার বিভিন্ন মেয়াদে কারাবরণ করেন জাতির এ বীর।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, চিকিৎসক, আইনজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. দীপু মনি তার একমাত্র মেয়ে এবং ডায়াবেটিক ফুট সার্জারিতে দেশের একমাত্র বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ (টিপু) তার একমাত্র ছেলে।